হুমকির মুখে পর্যটন শিল্প
শারমিনা কবিরঃ অব্যস্থাপনাসহ নানা জটিলতায় হুমকির মুখে পর্যটন শিল্প। অপার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও দুর্ঘটনার ভয় ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে সুউচ্চ পাহাড় এবং ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ি ঝরনার মিলন ক্ষেত্র বান্দরবান পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।এই ভরা মৌসুমে পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখনো অনেকটা ফাঁকা পড়ে আছে।প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বান্দরবানকে বিধাতা যেন নিজ হাতেই সাজিয়েছেন।
কি নেই এখানে। সুউচ্চ পাহাড় কেও ক্রাও ডং, তাজিন ডং, বগালেক, পাহাড়ি ঝর্ণা রিজিক ঝিড়ি, নাফাকুমের পাথুরে নদী, বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় স্থান স্বর্ণ মন্দির যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নয়নাভিরাম নীলগিরি। সে সাথে রয়েছে ১১টি নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা।বান্দরবান জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দর্শকদের জন্য টিকেট কেটে সৌন্দর্য উপভোগ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তবে নানা সমস্যার কারণে অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্রই এখন পর্যটক শূন্য। একেতো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পর্যাপ্ত যানবাহন সংকট। সে সাথে এখনো গড়ে উঠেনি অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা। আর কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না আসায় তার প্রভাব পড়ছে আধিবাসী জনগোষ্ঠীর আয়ের ক্ষেত্রেও। ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, সৌন্দর্য উপভোগের জন্য অসাধারণ জায়গা। কিন্তু পর্যাপ্ত উন্নয়ন করা গেলে পর্যটক আরো বাড়ানো সম্ভব। আর পর্যটক বাড়লে এ এলাকার আদিবাসীদের আয়ের সুযোগও বাড়বে।
তবে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে বাড়বে পর্যটকের আনাগোনা।