পিএসজিকে হারিয়ে বার্সেলোনার মধুর প্রতিশোধ
স্পোর্টস ডেস্কঃ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত করা দুই দলের জন্য ম্যাচটি ছিল গ্রুপের সেরা হওয়ার লড়াই। মর্যাদার এই লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েও তিন তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেসের গোলে পিএসজিকে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
কাম্প নউয়ে বুধবার রাতে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নদের ৩-১ গোলে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধও নেয়া হলো লুইস এনরিকের দলের। প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা
।
বার্সেলোনার মাঠ কাস্প নউকে স্তব্ধ করে দিয়ে পিএসজিকে পঞ্চদশ মিনিটে এদিয়ে দেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। লুকাস মাউরার ক্রসে ব্লেইস মাতুইদি হয়ে বল সুইডেনের ফরোয়ার্ডের কাছে পৌঁছায়। তা থেকে নিজের সাবেক ক্লাবের জালে গোল করতে একটুও ভুল হয়নি ইব্রাহিমোভিচের।
চার মিনিটের মধ্যেই মেসির গোলে বার্সেলোনা সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরে। হাভিয়ের মাসচেরানোর লম্বা পাস পায়ে নিয়েই দ্রুত ক্রস দেন লুইস সুয়ারেস। ডান দিক দিয়ে অনেকটা দৌড়ে এসে পা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি।
বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরানোর পাশাপাশি নিজের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলের রেকর্ডটা আরেকটু উঁচুতে নিয়ে যান মেসি। ইউরোপ সেরার আসরে আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডের এটি ৭৫তম গোল।
৩১তম মিনিটে দারুণ একটি সেভ করেন মার্ক আন্ড্রে টের স্টেগেন। ডান দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া ইব্রাহিমোভিচের ক্রসে এদিনসন কাভানির নেয়া শট রুখে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ এক গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন নেইমার। ডান দিক দিয়ে পিএসজির এক ফুটবলারকে কাটিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে অতিথিদের জালে বল জড়ান ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি নেইমারের সপ্তম গোল।
৫৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি পিএসজি। ডি বক্সের জটলার মধ্যে প্রথমে লুকাসের শট আটকে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। এরপর ফিরতি বলে কাভানি শট নিলেও তা ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
৭৭তম মিনিটে মেসি-নেইমার-সুয়ারেসের গোছালো আক্রমণে স্কোরলাইন ৩-১ করে নেয় স্বাগিতকরা। মেসির পাস পিএসজির রক্ষণভাগে বাধা পাওয়ার পর তা পেয়ে যান নেইমার। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের শট সালভাতোরে শিরিগু ফেরালেও সুয়ারেস ফিরতি শটে তা জালে জড়িয়ে দেন।
নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে মেসির বাম পায়ের শট পিএসজির গোলবার ঘেষে বাইরে চলে গেলে আর ব্যবধান বাড়েনি। অতিরিক্ত সময়ে নেয়া ইব্রাহিমোভিচের ফ্রি-কিকও বার্সেলোনার গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠল বার্সেলোনা। ইউরোপ সেরার এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এসে হারল পিএসজি; ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সেরা ষোলোয় উঠল তারা।
‘এফ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে আয়াক্স আমস্টারডাম ৪-০ গোলে আপোয়েল নিকোসিয়াকে হারিয়েছে। দু’টি দল আগেই ছিটকে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে। তবে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ মিলেছে নেদারল্যান্ডসের দল আয়াক্সের। ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সবার নিচে থাকল সাইপ্রাসের দল নিকোসিয়া।