বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » লাইফ স্টাইল » আজান হলে মেয়েরা মাথা ঢাকে কেন?

আজান হলে মেয়েরা মাথা ঢাকে কেন? 

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ    চিরচেনা চরিত্র। আজান হলে মেয়েরা মাথা ঢাকে । মাথায় কাপড় ও ওড়না টেনে দেয়। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, চেনা-অচেনা প্রায় সব নারীদের মাঝে চরিত্রটি দেখে আসছি। চারিত্রিক এই উপমাটি আমাদের দীঘ দিনের ঐতিহ্য। আজকের নারীরও ঐতিহ্যের এই সংস্কৃতি লালন ও যাপন করে আসছেন। গ্রামীণ বা শহুরে নারীর আচার-বিশ্বাস এবং ভাব-ভাবনায় এই ভক্তিটুকু আছে

nari

বিদগ্ধ আলেম সমাজ বিশ্লেষক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী আজান শুনে মেয়েদের মাথায় কাপড় দেওয়াকে মর্যাদাবান ও ঐতিহ্য লালিত নারীর উদাহারণ উল্লেখ করে বলেন, ইসলামের প্রতীক আজানের প্রতি নারীর এই শ্রদ্ধা ঈমানের বনে আবেগের ঝড় তোলার মতো।

সহমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকার জামিয়া রাহমানিয়ার ফতোয়া বিভাগের শিক্ষক, মুফতি তাউহিদুল ইসলামও। তিনি বলেন নারীদের এই সংস্কৃতি আজানের প্রতি শ্রদ্ধার বহিপ্রকাশ। কাজটি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

পুনশ্চ : বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠোক আজানের ফুল । জীবনের আঙিনায় অবারিত হোক নবীর আদর্শ।

পৃথিবীর প্রথম প্রহরে আতুররঘরে কানে লাগা মিষ্টি আজানের সুরের আবেদন কখনই ভুলে যাওয়ার নয়। মাথায় কাপড় দেওয়ার এই সংস্কৃতি মূলত আজানের প্রতি মেয়েদের শ্রদ্ধা-ভক্তি ও ভালোবাসা থেকে। আজানের প্রতি বাঙালি নারীর শ্রদ্ধা-ভক্তির বাসনা আরও শাণিত করেছে বাংলাভাষার কবিরা। কবিদেরও আছে আজানের প্রতি গভীর মুগ্ধতা। মুগ্ধতার চিত্রায়ন নারীর আচরণ-সংস্কৃতিতে, কবিদের ছন্দ-সুরে।

জাতীয় কবি নজরুলও মুগ্ধ ছিলেন আজানের সুর লহরিতে। নজরুল কাব্যের পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে আছে আজানের উপমা। কবির অন্তিম ইচ্ছার ব্যকুলতা আছে এভাবে, মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।

ভাব,প্রকাশভঙি ও শব্দের অভিধায় কায়কোবাদের আজান কবিতার আবেদনও চিরকালীন। কে ওই শুনালো মোরো আজানের ধ্বনি/মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সুমধুর/আকুল হইল প্রাণ নাচিল ধমনী/ কি মধুর আজানের ধ্বানি। কায়কোবাদের কবিতার শরীর সহজ ও আবেদনময়ী অথচ ভাবনার বৃত্তায়নে জীবন্ত।

নারীদের মতো প্রকৃতিও আজানের প্রেমে পরেছে। মুগ্ধ হয়েছে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে। সম্প্রতি আযারবাইযানের আজানের ফুল নিয়ে ডকুমেন্টারি করেছে সিএনএন ও বিবিসি। ফুলিটির চরিত্র হলো আজানের সুর শুনে ফুলে ওঠে। হেসে যায়। আজান শেষে পাপরিগুলো মিলে যায়। বন্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞানের সকল গবেষনার পর ফল একটা-ই পাওয়া গেছে, ÒSorry, we canÕt explain this mystery, only God knowsÓ.

আজান যদি কাব্যের অলঙকার, প্রকৃতির মুগ্ধতা ও প্রেম হয়, নারীর জন্য কেন ভক্তি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক হবে না? কেন আজানের ফুলের মতো নারীকাব্যে ভক্তির ফুল ফুটবে না?

শাড়ি বা ওড়নার আচল টেনে মাথা ঢাকার এই চিত্রকল্প আজান ফুলের দৃশের চেয়ে কাব্যিক নান্দনিক ও প্রাচুর্যে ভরা।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone