ভারতীয় তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার মহামারী
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ সাংস্কৃতিক ইস্যু, লাঞ্ছনা, অভিভাবকের চাপ ও উচ্চ বেতনের চাকরির জন্য প্রতিযোগিতার চাপে ভারতীয় তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার মহামারী তৈরি করছে।মানসিক অসুস্থতাকে রোগ বলে গণ্য না করার ভারতীয় মানসিকতা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেবিশ্বের ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ভারতীয়দের আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি, গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচওপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো ভারতীয়
তরুণীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আত্মহত্যা। এই সংখ্যা নারীদের সন্তান জন্মদানকালীন মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছেবিশ্বের অবহেলিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেই সাধারণত আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। কিন্তু ভারত ব্যতিক্রম। ভারতের সবচেয়ে অগ্রসর এলাকার উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের মধ্যেই এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশিসকালে নাস্তার কিছু সময় পরে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী পিংকি চৌহান নয়াদিল্লির কাছে গুরগাঁওয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হলেন আর নিজের শরীরে পেট্রল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে শরীরে আগুন নিয়ে চিৎকার করতে করতে ১৯ বছরের এই তরুণী সারা কলেজে দৌড়ে বেড়ান, শেষে অধ্যক্ষের দপ্তরের সামনে এসে আগুনে পুড়তে পুড়তেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। কয়েকদিন পর হাসপাতালে পিংকির মৃত্যু তার ভাই অরুণ জানান, গণিতে শূন্য পেয়ে ভেঙে পড়েছিলেন পিংকি। শিক্ষকদের পরীক্ষার খাতা আবার দেখার অনুরোধ করেও কোনো সাড়া পাননি।নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন না ভেবে পিংকি শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একই সময় পরিবারের কিছু সদস্য বিয়ে করে নারীদের সনাতন জীবন বেছে নেয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন।“সে জানাতো না আর কী করবে, নিজের ওপর প্রচণ্ড চাপ নিয়েছিল সে,” বলেন অরুণপিংকির জীবনের এ ঘটনা ভারতীয় তরুণদের জীবনে নতুন নয়।