বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।গত ১১ ডিসেম্বর নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী তাসলিমা সুলতানাসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নাসির গ্রুপের বিরুদ্ধে আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার, বিভিন্ন কায়দায় কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে দুদক সূত্র জানায়।সূত্রে আরো জানায়, অভিযোগ
রয়েছে বিভিন্ন পন্থায় নাসির গ্রুপ কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। যেমন, পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যাংকের মাধ্যম এলসি খোলা হয়। বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য হুন্ডির মাধ্যম বিদেশে পাঠানো হয়। ৭ থেকে ৮টি বিশ্বস্ত হুন্ডি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিদেশে অর্থ পাঠিয়ে টাকা আদায়ের রশিদ (মানি রিসিপ্ট) ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়। ই-মেইলে মানি রিসিপ্ট পাওয়ার পর নাসির গ্রুপ চেকের মাধ্যম ওই টাকা পরিশোধ করে। প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা এভাবে হুণ্ডির মাধ্যমে পাঠানো হয়। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।দুদকের প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নাসির উদ্দিন এনবিআরের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রদান করে বিভিন্ন পণ্যের এইচ এস কোড পরিবর্তন করে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে থাকেন। নাসির গ্রুপের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম, বেনাপোল, টাঙ্গাইল আইসিডির কমিশনার ও এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়।