চার এমএলএম কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত হবে সংসদীয় কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নতুন আইনে লাইসেন্স পাওয়া চার মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানির (এমএলএম) যাবতীয় কার্যক্রমের বিষয়ে তদন্ত করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আর এ কাজের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট সংসদীয় উপ-কমিটিও গঠন করেছে মূল কমিটি।রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেনকে আহবায়ক
এবং এনামুল হক ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোর্তুজা রেজা চৌধুরী ও যুগ্ম-সচিব আবদুল মান্নানকে এ উপ-কমিটির সদস্য করা হয়েছেএ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এমএলএম কোম্পানিকে নতুন আইনের অধীনে আনার পর ৫টি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়ান একটি কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছে। এখন আমরা বাকি চারটি কোম্পানির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। মন্ত্রণালয়কে বলেছি, কিসের ভিত্তিতে তাদের লাইসেন্স দেওয়া হলো তার ওপর কমিটিকে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। মন্ত্রণালয় (রোববার) আমাদের একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনটি আমরা পর্যালোচনা করে একটি সাব-কমিটি গঠন করেছি। সাব-কমিটির কাজ হবে, কোম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্য যাচাই করা। একই সঙ্গে কমিটির সদস্যরা কোম্পানিগুলো অফিস পরিদর্শন করবেন। তাদের গ্রাহক সেবা সম্পর্কে অবগত হবেন। কমিটিকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এক মাস পর তারা ওই চারটি কোম্পানি সম্পর্কে কমিটিকে রিপোর্ট দিবে।তাজুল ইসলাম বলেন, এছাড়া আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে লাইসেন্স ছাড়া কতোগুলো এমএলএম কোম্পানি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তার তালিকা চেয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কেও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।কমিটির সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি এমএক্সএন মর্ডান ফুড লি. এমএলএম কার্যক্রমের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করলে আরজেএসসি’র কর্মকর্তা কোম্পানিটির ব্যাপারে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর কর্তৃপক্ষ গত ৫ মার্চ লাইসেন্স প্রদান করে। বর্তমানে কোম্পানিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া ৭ জানুয়ারি আবেদন করে রিচ বিজনেস লি. ও স্বাধীন অনলাইন (পাবলিক) লি., ৯ জানুয়ারি আবেদন করে ওয়ার্ল্ড মিশন২১ লি. এবং ২ মার্চ আবেদন করে জার ইলেকট্রনিক্স পালস মেসেজার লি.। আবেদন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রিচ বিজনেস লি., স্বাধীন অনলাইন (পাবলিক) লি. ও ওয়ার্ল্ড মিশন২১ লি.-কে লাইসেন্স প্রদান করা হয় গত ৫ মার্চ। আর জার ইলেকট্রিক্স পালস মেসেজার লিমিটেডকে লাইসেন্স প্রদান করা হয় গত ৩০ এপ্রিল।এর মধ্যে জার ইলেকট্রনিক্স পালস মেসেজার লিমিটেডের মালিক ব্যবসা বন্ধ করে চলে গেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স বাতিলের জন্য আইন অনুসারে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা হয়েছে।বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মো. মোতাহার হোসেন, এনামুল হক, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, আকম বাহাউদ্দীন, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন, লায়লা আরজুমান বানু প্রমুখ।