বিএনপির আন্দোলনের পথে চার কাঁটা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার দ্বন্দ্ব, মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্ক, সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত এবং অতিমাত্রায় বিদেশনির্ভরতা- এই চার কারণে দলটির সরকারবিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে। গত কয়েক দিনে দলটির নীতিনির্ধারক একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন প্রশ্নে এই চার বাধা বা সংকটের কথা জানা গেছে। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা।
ওই নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দলের বর্তমান এই দুঃসময়েও অদ্ভুত এক ধরনের রাজনীতির চিত্রও পাওয়া যায় বিএনপিতে। জানা গেছে, দলটির নেতাদের ভাবনায় আন্দোলন ইস্যু যতটা না আছে, তার চেয়ে বেশি চলছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং রেষারেষি। দলের জন্য আন্দোলনের অন্যতম ‘কাণ্ডারি’ বলে বিবেচিত স্থায়ী কমিটির নেতারাই একে অন্যের কাছে অনুযোগ জানান, খালেদা জিয়া তাঁদের কিছুই দিলেন না। একজন অন্যজনের দুর্নাম করতেও ছাড়ছেন না। চেয়ারপারসন তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না কিংবা অমুক কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয়নি- এমন সব আক্ষেপ শোনা যায় দু-দুবার মন্ত্রিত্ব পাওয়া নেতাদের মুখ থেকেও। লন্ডনে বসবাসরত দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের বক্তৃতায় আন্দোলনের দিকনির্দেশনার বদলে ইতিহাস নিয়ে বিতর্কের দিকে ঝোঁক বেশি। পাশাপাশি তাঁর আশীর্বাদ পেতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও চোখে পড়ার মতো।
জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, আব্বাস-খোকার দ্বন্দ্ব আন্দোলনে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। দুই নেতার ওপরই চেয়ারপারসনের যথেষ্ট চাপ রয়েছে। সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবশ্য কিছু বলতে রাজি হননি। আর বৈশ্বিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিদেশনির্ভরতা বাংলাদেশের সব দলের রয়েছে দাবি করে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপির প্রথম ইস্যু হচ্ছে আন্দোলন। আর কূটনৈতিক সমর্থনের প্রত্যাশা দ্বিতীয়। প্রথমটি ছাড়া দ্বিতীয়টি কার্যকর কোনো ফল দিতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মতে, আব্বাস-খোকার মধ্যে দ্বন্দ্ব বাস্তবে যতটা, তারচেয়ে বেশি আছে প্রোপাগাণ্ডা। এছাড়া চেয়ারপারসন যে নির্দেশ দেবেন, সে অনুযায়ী আন্দোলন হবে। ভয়ভীতি সেখানে বড় বিষয় নয়। সরকারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের আঁতাতের বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের দাবি, আব্বাস-খোকাকেন্দ্রিক গ্রুপিং মহানগরী কমিটি গঠনের সময় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। আন্দোলনে কে ভূমিকা রাখতে পারবেন সেটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাবেক এই ছাত্রনেতার মতে, একটি দল সমস্যায় থাকলে নিজেদের মধ্যে নানা সন্দেহ দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপির কেউ গোপনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বলেন, মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে ভয় আছে এটা বাস্তব, কিন্তু আন্দোলন না করলেও আমাদের এ ধরনের নির্যাতনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ফলে আন্দোলনের মাধ্যমে কর্মীরা এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি দেখতে চায়।
আব্বাস-খোকার দ্বন্দ্বে সামনে এগোতে পারছে না বিএনপি
বস্তুত আব্বাস-খোকার দ্বন্দ্ব বিএনপিতে অনেকটা বিষ ফোঁড়ার মতো। অনেকের মতে, এ দ্বন্দ্বই দলটিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আগে মহাসচিব পদ নিয়ে গ্রুপিং-লবিংয়ে দলে বিভাজন তৈরি হতো। এখন ঢাকা মহানগরীর এই দুই নেতাকে কেন্দ্র করেই মূল বিভেদ, যা আবার ছড়িয়ে পড়ছে কেন্দ্র ও তৃণমূলে। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়েও এর প্রভাব পড়ছে।
ওই কার্যালয়ে যেসব নেতা-কর্মী যান, তাঁদের কেউ খালেদা জিয়ার কাছে আব্বাসের বিরুদ্ধে আবার কেউ খোকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। অনেক সময় প্রকাশ্যেই এ নিয়ে কথা বলছেন উভয় অংশের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সম্পদ রক্ষায় দুই নেতাই সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন, কিন্তু বাস্তবে এ বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য নেই।
গত ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত খোকার কর্মী-সমর্থকরা সরব থাকলেও এখন নীরব। তবে কিছুটা খোশ মেজাজেও রয়েছে তারা এই ভাবনায় যে, আব্বাস ও তাঁর সমর্থকরা ‘পারলে আন্দোলন করে দেখাক।’ ওদিকে নেতৃত্ব পেয়ে আব্বাস সমর্থকরা আছে কিছুটা বিপ্লবী ভঙ্গিতে। তাদের মনোভাব হলো, ‘ওরা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। তাই খালেদা জিয়া ওদের বাদ দিয়েছেন। এবার দলের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে। সরকারের পতন ঘটিয়ে দেখাব।’ সূত্র মতে, দুই অংশই পরস্পরকে ‘দেখিয়ে’ দেওয়ার এই রাজনীতি নিয়ে আছে। আন্দোলন প্রশ্নে তাদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই।
তবে দুই বলয়ের বাইরে থাকা নেতারা বলছেন, দৃশ্যত খোকা সমর্থকরা প্রকাশ্যে ক্ষতিকর কিছু না করলেও ভেতরে কী করছে তা নিয়ে আব্বাস সমর্থকদের সন্দেহ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, অতীতে খোকাকে ‘ব্যর্থ’ প্রমাণ করার জন্য আব্বাসের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা আছে। সঙ্গত কারণেই এখন আব্বাসের সাফল্যও খোকা সমর্থকরা চাইবে না। ওই নেতার মতে, সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে খোকার জায়গায় আব্বাসের নেতৃত্বে কমিটি গঠন। অন্য কাউকে এ দায়িত্ব দিয়ে ওই দুই নেতার দূরত্ব কমালে ভালো ফল পাওয়া যেত। তাঁর মতে, এ প্রক্রিয়ায় অন্তত পরস্পরকে ব্যর্থ প্রমাণের প্রতিযোগিতা কমে যেত।
সরকারের সঙ্গে আঁতাত?
খালেদা জিয়া তাঁর সাম্প্রতিক বক্তৃতায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিলেও বাস্তবে দলটির নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে চোখে পড়ার মতো প্রস্তুতি নেই। বরং পরস্পরবিরোধী নেতারা নিজেরাই আড়ালে একজন অন্যজনকে ‘সরকারের দালাল’ বলতে ছাড়ছেন না। নেতাদের এই অবস্থা দেখে খালেদা জিয়া ইদানীং অনেককে সন্দেহের চোখে দেখছেন। বলা হচ্ছে, ‘সরকারের চর’ সন্দেহে আন্দোলন পরিকল্পনার কথা তিনি শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকেই জানাচ্ছেন না। এদিকে ওই নেতাদের কাছে কর্মীরা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘শ্লেষে’র সঙ্গে তাঁরা প্রতিপক্ষ একজনকে দেখিয়ে দিয়ে তাঁর কাছ থেকেই জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার খালেদা জিয়ার কাছে গুরুত্ব না পাওয়ার জন্য গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুষছেন। সুযোগ পেলেই তাঁদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলছেন, তাঁরাই সরকারের লোক, আন্দোলন পরিকল্পনার কথাও তাঁরা জানেন।
সূত্র মতে, বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে সরকারের আঁতাতের বিষয়টি ইদানীং বেশি আলোচিত হচ্ছে দলটির নেতাদের ব্যক্তিগত রেষারেষি, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের সূত্র ধরেই। বলা হচ্ছে, বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক নেতাদের পক্ষে আর আন্দোলন করা সম্ভব নয়। তাঁদের লক্ষ্য এখন নিজেদের নিরাপদ রেখে সম্পদ রক্ষা। তাই প্রকাশ্যে আন্দোলনের কথা বললেও গোপনে তাঁরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সময় সময় যোগাযোগ করে একদল নেতা নিজেদের নিরাপদ রাখছেন বলে আলোচনা আছে। তাঁদের মধ্যে মহানগর বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালীর পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নামও শোনা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা জানান, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সরকার চিন্তিত নয় বলেই তাঁর কাছে খবর আছে। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি ঘরোয়া এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশিদের চাপ সামাল দিতে পারলে অন্য কোনো সমস্যা নেই। কারণ বিএনপি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে।
ভয়ভীতির কারণ দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ
বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনের ব্যাপারে তৃণমূলে আগ্রহ থাকলেও বিএনপিতে এখনো আস্থা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়নি। মহানগর ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে মামলা ও পুলিশি নির্যাতনের ভয় রয়েছে। এমনিতেই নেতা-কর্মীরা মামলার ভারে জর্জরিত। ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হলে মামলা দিয়ে আবারও তাদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নাশকতা সৃষ্টি করে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের সুযোগ তৈরি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় বিজয় র্যালি কর্মসূচি স্থগিত করে মহানগরী বিএনপি- এমন ঘটনা দলটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ঘটেনি। দলের বড় একটি অংশ এ সিদ্ধান্তকে সরকারের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ হিসেবে দেখছে। এ ইস্যুতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহানগর নেতাদের আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। তাঁরা খালেদা জিয়াকে বোঝান, তাঁদের কাছে তথ্য আছে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য বোমা ফাটিয়ে নাশকতা ঘটাতে পারে, যাতে গণহারে গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। এ অবস্থায় বিজয় দিবসের র্যালি না করাই ভালো।
এদিকে মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের আশঙ্কায় কমিটি ঘোষণা স্থগিত আছে। এর আগেও ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও অজানা কারণে প্রতিবাদ করেনি মহানগর বিএনপি।
সূত্র জানায়, ভয় ও আতঙ্ক বিএনপিকে কাবু করে ফেলেছে, তার বড় উদাহরণ হলো দায়িত্ব নেওয়ার পরও মহানগরীর শীর্ষ এক নেতা কার্যালয়েই বসছেন না। ঘনিষ্ঠজনদের তিনি নাকি বলছেন, দুর্বলভাবে তৈরি হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে কার্যালয়টি ভেঙে পড়তে পারে। সূত্রের দাবি, এ কারণে ওই নেতা তাঁর বাসায় দলীয় কাজকর্ম চালাচ্ছেন।
আবারও বিদেশনির্ভরতা
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানতে মাঠের আন্দোলন ছাড়া সরকারকে চাপে ফেলা যাবে না এমন ধারণা বদ্ধমূল হলেও দলটি এখনো বিদেশনির্ভরতা কাটাতে পারছে না। বরং আন্দোলন প্রস্তুতির বদলে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিদেশিরা এখন কোন দলের দিকে ঝোঁকে এমন আলোচনা ও কৌতূহলই দলটির নেতাদের মধ্যে বেশি। ভাবনাটা এমন যে, বিদেশিরা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র হাতে ধরে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। নেতাদের সঙ্গে দেখা হলেই কর্মীরা তাই জানতে চায়, ভাই ভারত বিএনপির পক্ষে থাকবে তো? আবার প্রধানমন্ত্রী ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেখে দলটির কেউ কেউ বেশ উল্লসিত। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সময় মতো ‘খেলা’ দেখাবে। অর্থাৎ সরকারকে বিপদে ফেলবে আর এর সুফল ভোগ করবে বিএনপি- এমন একটি ধারণা নিয়ে দলটির অনেক নেতা বসে আছেন।
অবশ্য ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী কূটনীতিকরা এর ঠিক বিপরীত অবস্থানে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো থেকে আভাস পাওয়া যায়। অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় দলটির নেতাদের তাঁরা বলেছেন, যা করার বিএনপিকেই করতে হবে। দেশে কোনো সংকট তৈরি হলে তাঁরা কেবল সে বিষয়ে কথা বলতে পারেন। এর বেশি কিছু নয়। এছাড়া সহিংস আন্দোলনের ব্যাপারেও আপত্তির কথা বিদেশিরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।
বিজেপি সরকারকে ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকায় আনতে কিছুদিন আগে ভারত ঘুরে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের দুই উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক ও আবদুল আউয়াল মিন্টু। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ একাধিক নেতা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। লন্ডন থেকে তারেক রহমান ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।