এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি ইন্দোনেশিয়া বেলিটাং দ্বীপে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার ও বিমান কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, এয়ার এশিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর ধ্বংসাবশেষ পূর্ব-ইন্দোনেশিয়া বেলিটাং দ্বীপে খুঁজে পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। বিমানটির উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইন্দোনেশিয়া
মালয়েশিয়াভিত্তিক স্বল্পমূল্যের বিমান পরিবহণ সংস্থা এয়ার এশিয়া। রোববার সকালের দিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডীয়নের কিছুক্ষণ পর কিউজেড-৮৫০১ ফ্লাইটের বিমানটি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের হাদি মোস্তফা নামের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে বিমানটি অন্য একটি রুটের দিকে যাচ্ছিল। কালিমানতান ও বেলিটাং উপদ্বীপের মাঝামাঝি কোনো এলাকায় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ওই বিমানে ১৬২ জন যাত্রী ছিলেন।
জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, এয়ার এশিয়ার ওই বিমান ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহর থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১৭ মিনিটে জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান, বিমানটিতে ১৫৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সিঙ্গাপুরি, একজন মালয়েশীয়, একজন ব্রিটিশ, তিনজন কোরীয় এবং ১৪৯ জন ইন্দোনেশীয় নাগরিক ছিলেন। চলতি বছরে এর আগে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দুটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত হয়। মার্চে জাকার্তা থেকে বেইজিংগামী মালয়েশিয়া এয়ার লাইন্সের এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটের বিমানটি ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়, যা এখনো এর খোঁজ মেলেনি।
এরপর জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আর্মস্টডাম থেকে কুয়ালালাপুরগামী একই বিমান সংস্থার এমএইচ-১৭ ফ্লাইটের বিমানটি ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটির ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন। তবে এয়ার এশিয়ার এই প্রথম কোনো বিমান দুর্ঘটনায় পড়ল।