নিখোঁজ কিউ জেডের ১৬২ আরোহীর ভাগ্য অনিশ্চিত
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ রোববার সকালে ইন্দোনেশিয়া থেকে ১৬২ জন আরোহী নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ওড়ার কিছু সময় পরই হারিয়ে যায় এয়ারএশিয়া নামের ইন্দোনেশিয়ার একটি এয়ারবাস। মধ্যরাত পর্যন্ত এর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ স্মৃতি থেকে না মুছতেই কাছাকাছি অঞ্চলে হারায় এই বিমানটি। এবারের ঘটনাতেও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে গেছে মালয়েশিয়া। কেননা, এয়ারএশিয়া মালয়েশিয়াভিত্তিক কম ভাড়ার একটি বিমান সংস্থা। আর ইন্দোনেশিয়া এর ৪৯ শতাংশের মালিক।
এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে যাত্রা পথের প্রায় মাঝামাঝি গিয়ে নিখোঁজ হয়। ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহর থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল এটি। ওড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর এয়ারবাস কোম্পানির এই উড়োজাহাজটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন পর্যন্ত জাভা সাগরের আকাশে ছিল এটি। বিমানটি থেকে কোনো বিপদ সংকেত আসেনি। গত মধ্যরাত পর্যন্ত এর কোনো ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায়নি।
এয়ারএশিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রার পর আকাশে ঝোড়ো মেঘের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় বিমানটিকে গতিপথ পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ঘন মেঘ এড়াতে বিমানচালক উচ্চতা বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ফুট ওপর দিয়ে চলার অনুমতি চাইলে তাঁকে তা দেয়া হয়।
নিখোঁজ বিমানটিতে মোট আরোহী ছিলেন ১৬২ জন। এর মধ্যে ১৫৫ জন যাত্রী, দুজন পাইলট ও পাঁচজন ক্রু সদস্য। আরোহীর ১৫৬ জনই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। দক্ষিণ কোরিয়ার তিনজন ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের একজন করে রয়েছেন। এতে বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না।
নিখোঁজের ঘটনার পরপরই অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ। ইন্দোনেশিয়ার কালিমান্তান থেকে জাভা দ্বীপ পর্যন্ত তন্নতন্ন করে চলে এ অভিযান। পরে রাত নেমে আসায় গতকালের জন্য অভিযান স্থগিত করা হয়। অভিযানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।