ধোনির টেস্ট ছাড়ায় বিস্মিত সৌরভ গাঙ্গুলি
মেলবোর্নে মঙ্গলবার তৃতীয় টেস্ট ড্র হওয়ার পরপরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ধোনি। ইতোমধ্যেই সিরিজ হারা এবং ৬ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হওয়া চতুর্থ টেস্ট এখন ডেড রাবার হওয়ায় সমালোচকরা ধোনির অবসর নেয়ার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গাঙ্গুলিও সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।গাঙ্গুলি বলেন, ধোনি যদি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতেন এবং আরো কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতেন তবে তা থেকে ভারতীয় ক্রিকেট নিঃসন্দেহে উপকৃত হতো।হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় নিজের কলামে গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘আমি মনে করছি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেয়া একটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করছি না।’
গাঙ্গুলি বলেন, ‘অতীতে এমন অবস্থায় আমি পড়েছি এবং আমি হলফ করে বলতে পারি ধোনিকে নিজের মত করে খেলতে দেয়া এবং তার মেধার বিচার করা উচিৎ ছিল। যেহেতু তার মধ্যে এখনো অনেক ক্রিকেট রয়েছে তাই আমরা আরো কিছুদিন টেস্ট খেলতে দেখতে চেয়েছিলাম।’এর আগে গাঙ্গুলি বলেছিলেন, সময় এসেছে ধোনির টেস্ট অধিনায়কত্ব বিরাট কোহলির কাছে ছেড়ে দেয়ার। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট ও নেতৃত্ব তাকে দেশে এবং দেশের বাইরে কোহলিকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলবে।
২০০৮ সালে অবসর নেয়া গাঙ্গুলি বলেন, সময়ের আবর্তে অধিনায়কত্ব আরো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তিন ফর্মেটে নেতৃত্ব দেয়া এবং উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলানো ধোনির জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
একই সুরে কথা বলেন আরেক সাবেক গ্রেট সুনিল গাভাস্কার। গাভাস্কারের মতে এমনকি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) খেলাটা ধোনির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাড়তি চাপ সৃস্টি করছে।একবার নয়, আবারো ধোনির অবসরের সময় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন গাঙ্গুলি। চার টেস্টের সিরিজে তিন ম্যাচ শেষে ভারত ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে এবং অনেকেই মনে করছেন ধোনি মরুভূমিতে একটি ডুবন্ত জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন।গাঙ্গুলি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি একটা সিরিজের মাঝখানে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমি বিস্মিত। তিন টেস্ট হয়ে গেছে এবং আর মাত্র একটা ম্যাচের ব্যাপার ছিল। সিরিজটা সে শেষ করতে পারত।’গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘একটা সিরিজের মাঝ পথে তার এমন সিদ্ধান্তের কারণ আমরা কেউ জানিনা। হতে পারে ইনজুরির কারণে তার এমন সিদ্ধান্ত। কেননা ইনজুরির কারণে হয়তবা পরবর্তী ম্যাচে সে খেলতে পারত না। হাতের আঙ্গুলের ইনজুরি নিয়েই সে সিরিজে খেলতে এসেছে এবং তার অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে কিনা আমাদের কোন ধারণা নেই।’