দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশে বের হবেন :খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘বাধা’ উপেক্ষা করে ২০ দলীয় জোটের ৫ জানুয়ারির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’-এর কর্মসূচিতে যোগ দিতে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশে বের হবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এখন পর্যন্ত তিনি দলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালনে প্রত্যয়ী। তিনি প্রত্যাশা করছেন, নয়াপল্টনে এই জনসভা অবশ্যই হবে। গুলশান কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।রোববার
সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি জনসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে অটল থাকার কথা জানান৫ জানুয়ারি নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ এবং এর বিপরীতে বিএনপি দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার জন্য প্রস্তুতি নেয়।অন্যদিকে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নয়াপল্টনের সামনের সড়ক, মতিঝিল- এই তিনটির যেকোনো স্থানে অনুমতি চেয়ে পায়নি। শেষ পর্যন্ত অনুমতি ছাড়াই তারা নয়াপল্টনে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও রোববার বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও বিএনপির তাদের পূর্বনির্ধারিত জনসভা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি।এদিকে শনিবার রাত থেকে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ খালেদা জিয়া জনসভায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানের পর ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার দিকে বালু, ইট ও পাথরভর্তি ৬টি ট্রাক কার্যালয়ের সামনে এনে জড়ো করা হয়। ভোর হওয়ার আগে যোগ হয় আরো ৭টি ট্রাক। অর্থাৎ মোট ১৩টি ট্রাক নিয়ে প্রাচীর তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।এ পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া কার্যালয় থেকে বের হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দলের সূত্রগুলো বলছে, গুলশানের কার্যালয়ের আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি প্রধান বের হতে না পারলে গুলশানেই বড় ধরনের অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে।তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’কে কেন্দ্র করে যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। সেদিনও বাসা থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী হলেও শেষ পর্যন্ত প্রধান গেটের বাইরে আসতে পারেননি খালেদা জিয়া।এদিকে আন্দোলন গতিশীল করে ‘চূড়ান্ত লক্ষ্যে’ পৌঁছাতে রাজধানী ঢাকাকে অচল করে দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি আগে যেমন ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি ঢাকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে ঢাকাকে অচল করে দিতে হবে। কীভাবে সেটি সম্ভব, তার জন্য কী প্রয়োজন, তা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানে।’আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়তেও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।