স্বাধীনতার দাবিতে ফের জাতিসংঘে ফিলিস্তিন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে গত সপ্তাহে উঠানো প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর আবারও স্বাধীনতার দাবিতে সংস্থাটিতে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। এ ব্যাপারে জর্ডানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। খবর আলজাজিরার।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আশা করছে, তাদের প্রস্তাবনা পাশ করার ব্যাপারে জাতিসংঘ আরও সহমর্মিতা দেখাবে
পশ্চিমতীরের রামাল্লায় রবিবার এক সাংস্কৃতিক সম্মেলনে আব্বাস বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হইনি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল আমাদের ব্যর্থ করেছে। আমরা আবারও নিরাপত্তা কাউন্সিলে যাব। সম্ভবত এক সপ্তাহ পরেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের মিত্র বিশেষত জর্ডানের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করব। আবারও প্রস্তাবনা পেশ করব, তৃতীয় কিংবা চতুর্থবার হলেও।’
এর আগে গত মঙ্গলবার নিরাপত্তা কাউন্সিলে ইসরায়েলের সঙ্গে এক বছরের মধ্যে শান্তি স্থাপন এবং ২০১৭ সালের মধ্যে অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার ও স্বাধীনতার দাবিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রস্তাবনা পেশ করে জর্ডান। মাত্র একটি ভোট কম পড়ায় প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের মোট ১৫ সদস্যদের মধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় জর্ডান, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, লুক্সেমবার্গ, চাঁদ, চিলি ও আর্জেন্টিনা। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য, লিথুনিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রুয়ান্ডা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ কাউন্সিলের (আইসিসি) সদস্য হতে জাতিসংঘে আবেদন করেছে ফিলিস্তিন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে যুক্ত হতে একের পর এক উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনকে অব্যাহত হুমকি ও চাপ দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল এবং তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
সম্পর্ক বিনষ্টের পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে উঠানো ১২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কর তহবিল আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অন্তত ৪০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।