গুলশানে খালেদা, প্রেসক্লাবে ফখরুল অবরুদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তৃতীয় দিনের মতো গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ রয়েছেন। আর দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার এড়াতে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন জাতীয় প্রেসক্লাবে। তবে দলটির দুই শীর্ষ নেতার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেলেও খোঁজ মিলছে না দলটির অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের।দ্বিতীয় দফায় অনির্দিষ্টকাল অবরোধের যে কর্মসূচি দেয়া হয়েছে তা অনেকটা ম্রিয়মান হয়ে গেছে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও অবরোধ সমর্থকদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি
রাজধানীর জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কোথাও কোথাও মৃদু জানজটেরও দেখা মিলছে।এদিকে সকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বালু ও ইটভর্তি ট্রাকগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে সড়কে আড়াআড়িভাবে প্রায় এক ডজন ট্রাক রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সতর্ক প্রহরা রয়েছে এখনো।গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কটিতে আজও রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান, জলকামান ও কয়েকটি ট্রাক। জলকামানটি রাখা হয়েছে কার্যালয় লক্ষ্য করে।কার্যালয়ের প্রধান ফটক আজও তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সকালে ফটকের সামনে এক সারি পুলিশ ছিল। পরে দুই সারি পুলিশ অবস্থান নেয়।সকালের দিকে পুলিশের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। এখন সেখানে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রায় ১০০ জন পোশাকধারী পুলিশ রয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।কার্যালয়ের পকেট গেট দিয়ে মঙ্গলবার সকালে ভেতরে খাবার পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই সূত্র।এদিকে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেসক্লাবেই রাত যাপন করেন। এখনো তিনি প্রেসক্লাবেই অবস্থান করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।তবে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি এক সাংবাদিক নেতা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা জানান, প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ভিআইপিদের বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত রুমে তিনি রাতযাপন করেন। তার ও সঙ্গীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রেসক্লাব কেন্টিন থেকে।সোমবার রাতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদসহ কয়েকজন নেতা অবস্থান করছিলেন।দু’দিন পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকার পর সোমবার বিকেলে হেলমেট পরে একটি মোটরসাইকেলে চরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আসেন ফখরুল। সমাবেশ শেষে গ্রেপ্তার আতঙ্কে প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেন তিনি।ফখরুলকে গ্রেপ্তার করতে প্রেসক্লাবের তিনটি গেটের বাইরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য সতর্ক প্রহরায় রয়েছে।