অবরোধ এর প্রভাব রাজধানীতে নেই
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। তবে এর প্রভাব রাজধানীতে তেমন পড়েনি। যানবাহন স্বাভাবিক দিনের মতোই চালু আছে। তবে অবরোধের প্রভাব পড়েছে রাজধানী থেকে দূরপাল্লার পরিবহণে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত জনসভা ও কালো পতাকা মিছিল করতে না দেওয়ায় সোমবার ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ।সোমবার রাজধানীর রাস্তা যানশূন্য থাকলেও মঙ্গলবার ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা গেছে
অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর সকল রাস্তায় স্বাভাবিক দিনের মতোই গণপরিবহণের বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে।রাজধানীর ফার্মগেট, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, গাবতলী, গুলিস্তান, কাকরাইল, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান ও মহাখালী ঘুরে এই চিত্র চোখে পড়ে।তবে রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অবশ্য ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে রেলপথ ও নৌপথের বেলায়। রাজধানীর সদরঘাটে সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ৪০টি লঞ্চ এসে ভিড়েছে।৫ জানুয়ারি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে অবরুদ্ধ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে জনসভা করতে দেয়নি। তাই আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’এই অবরোধ কর্মসূচি সকাল থেকে শুরু হলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি রাজধানীতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক দিনের মতো রাজধানীর রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও বাড়তে দেখা যায়।কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। গাবতলী এবং সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও আশপাশের জেলা ও রাজধানীর মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।রাজধানীর মোড়ে মোড়ে স্বাভাবিক দিনের মতোই যানজট দেখা গেছে। এ ছাড়া সকাল থেকেই যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, মিরপুর এলাকায় যানজট লক্ষ করা গেছে। এসব জায়গায় প্রতিটি সিগন্যালে ৮ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।রাজধানীর অফিসগুলো খুলেছে নির্দিষ্ট সময়ে এবং অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক আছে। এ ছাড়া ব্যাংক পাড়ায়ও দেখা গেছে ভিড়। লেনদেনও হচ্ছে স্বাভাবিক দিনের মতো।অবরোধে নাশকতা বা সহিংস তৎপরতা ঠেকাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে।সকালে রাজধানীর কদমতলীতে পুলিশ বহনকারী একটি হিউম্যান হলারে (লেগুনা) অগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি।