জন্মনিয়ন্ত্রণ করবে ‘মাইক্রো চিপ’
প্রযুক্তি ডেস্কঃ অবাঞ্ছিত সন্তান এড়াতে নারীদের জন্য কতই না ব্যবস্থা। কখনও গর্ভনিরোধক। কখনও ডায়াফ্রাম। কখনও কপার টি। কখনও ইঞ্জেকশন। কখনও পিল। সেই পিল-ও আবার কখনও রোজ, কখনও সপ্তাহে কিংবা মাসে। কখনও আপত্কালীন। কিন্ত্ত জন্মনিয়ন্ত্রণের এই তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন মাইক্রো চিপ।
চামড়ার তলায় ফিট করে দেওয়া ছোট্ট একটি চিপ। আর তাতেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি। মনে রাখতে হবে না ওষুধ খাওয়ার দিন আর সময়। চিপ থেকে বেরোনো নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধই প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণে রাখবে হরমোনের মাত্রা। আর তাতেই হবে জন্মনিয়ন্ত্রণের কাজ
জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নানাবিধ পন্থা থাকলেও পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধই নারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়। কিন্ত্ত ঠিক সময়ে মনে করে ওষুধ খাওয়ার ঝক্কি অনেকেই সামলাতে চান না। তাই অনেক সময়েই ইচেছ না থাকলেও জড়িয়ে পড়েন অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের মতো সমস্যায়।
চিকিত্সকরা বলছেন, এই মাইক্রো চিপ এবার সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। আধ ঘণ্টার ছোট্ট অপারেশনে পেটে কিংবা বাহুতে কিংবা পশ্চাদ্দেশে চামড়ার নিচে বসিয়ে দেওয়া হবে এই অতিক্ষুদ্র মাইক্রো চিপ৷ আর চিপ থেকে নির্দিষ্ট মাত্রায় হরমোন বেরিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখবে গর্ভধারণের সম্ভাবনা। আর গর্ভধারণ করতে চাইলে রিমোট কণ্ট্রোল ব্যবহার করে শুধুমাত্র চিপটি ‘অফ’ করে দিলেই চলবে, চামড়া কেটে বের করে আনারও কোনও প্রয়োজন নেই।
একবার এই চিপ স্থাপন করা হলে আপাতত ১৬ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত। যেখানে ইতিমধ্যেই বাজারের বড় অংশের দখল রাখা অন্যান্য গর্ভনিরোধক ব্যবস্হাগুলি দুই থেকে বড়জোর পাঁচ বছর কাজ করতে সক্ষম হয়, সেখানে একাই বাজার মাত করতে পারে আকারে একটি ছোট্ট স্ট্যাম্পের সমান মাইক্রো চিপ। এখনও গবেষণার স্তরে থাকলেও আর বছর-দুই আড়াইয়ের মধ্যেই বাজারে এসে যাবে চিপ কণ্ট্রাসেপশন।
তবে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷ কোনও হ্যাকার এই মাইক্রো চিপের ‘দখল’ নিয়ে আপনার ‘ব্যক্তিগত পারিবারিক’সিদ্ধান্তে নাক গলাতে পারবে কি না, সে আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তাই চামড়ার নিচে চিপ বসানোর আগে একবার হ্যাকিং আইনটাও ঝালিয়ে নেবেন৷