পাকিস্তানে সামরিক আদালত গঠন বিল পাস
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সামরিক আদালত গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। দেশটির পার্লামেন্টে সামরিক আদালত গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন ২৪২ জন। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের চেয়েও ১৪টি বেশি ভোটে বিলটি পাস হয়। যদিও কিছু ধর্মভিত্তিক দল এবং প্রধান বিরোধী দল ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ এ ব্যাপারে ভোটদানে বিরত থাকে। আইনটি এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হবে এবং প্রেসিডেন্ট এ সপ্তাহেই এটি স্বাক্ষর করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের আদালত প্রতিষ্ঠা হলে তা অন্তত দুই বছর কাজ করবে
গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারের স্কুলে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩৪ শিশু নিহতের পর দেশটিতে সামরিক আদালত গঠনের বিষয়টি জোরদার হয়। এই আইনের ফলে এখন থেকে সন্ত্রাসবাদে জড়িত বেসামরিক লোকদের বিচার এখন থেকে সামরিক আদালতে হবে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে পাস হয়ে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত হলেই বিলটি আইনে পরিনত হবে। আশা করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট চলতি সপ্তাহেই বিলটি সাক্ষর করবেন। তালেবান হামলা ঠেকাতে সামরিক আদালত গঠনের বিষয়ে বেশিরভাগ রাজনীতিবিদই একমত পোষণ করেছে।
সিনেটে প্রদত্ত এক ভাষনে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আইনটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা করেন। তিনি বলেন এই বিলের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে সমূলে উৎপাটন করা হবে। তিনি পার্লামেন্টের সকল দলীয় প্রধান ও অন্যান্য সকলকে বিলটি সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দেন।
যারা এই বিলের পক্ষে ভোট দেননি তাদেরকে তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যারা ন্যাশনাল এসেম্বলিতে ভোট দেয়নি তারা সিনেটে বিলটির পক্ষে থাকবেন।
এই বিলের মাধ্যেমে পাকিস্তানের দীর্ঘ ৬০ বছরের অস্থিরতার অবসান ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যদিও এই বিলটি নিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এই আইনের ফলে বেসামরিক লোকদের বিচার সামরিক আদালতে অনুষ্ঠিত হবে যেটা প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার প্রতি হুমকি স্বরূপ।পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন তাদের সম্পাদকীয়তে দিনটিকে গনতন্ত্রের জন্য শোক হিসাবে আখ্যা দিয়ে বলে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের একযোগে কাজ করতে হবে। কিন্তু সামরিত আদালত গঠন এর প্রতিকার নয়।