পত্রিকার স্তুপ পল্টনের বিএনপি অফিসে
ডেস্ক রিপোর্টঃ গত পাঁচ দিন ধরে ফাঁকা পড়ে আছে বিএনপির তালাবদ্ধ কেন্দ্রীয় অফিস। পুলিশের ভয়ে ধারে-কাছে যাচ্ছেন না নেতাকর্মীরা। কিন্তু সংবাদপত্রের হকার ঠিকই তার রুটিন অনুযায়ী পত্রিকা সরবরাহ করছেন অফিসটিতে। অফিসের ভেতর প্রবেশের সুযোগ না থাকায় হকার প্রতিদিন কলাপসিবল গেটের ফাঁক দিয়ে পত্রিকা ফেলে চলে যান। ভেতরে কেউ না থাকায় যেখানকার পত্রিকা সেখানেই পড়ে থাকছে। পত্রিকার স্তুপ জমে গেছে প্রবেশ পথে।গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, একদল পুলিশ (পুরষ ও মহিলা) বিএনপির নয়াপল্টনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
প্রতিদিন এভাবেই তারা দাঁড়িয়ে থাকে। ব্যস্ত সড়কের পাশে পাঁচতলা ভবনের এই অফিসের প্রবেশ পথের কলাপসিবল গেটের ভেতর থেকে তালা মারা। প্রতিদিন যেখানে অসংখ্য নেতাকর্মীর সরব উপস্থিতিতে অফিসটি মুখর থাকে, এখন সেখানে শুধুই নীরবতা। বেশকিছু পত্রিকা গেটের ভেতর ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে আছে। লোকজন নেই বলে ফ্লোরে পত্রিকার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। অফিসের ভেতর ধূলির আস্তরও পড়ে যাচ্ছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের এক সদস্য বলেন, অফিসের ভেতর কেউ নেই। পত্রিকা পড়বে কে? তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে এক হকার এসে পত্রিকাগুলো রেখে যায়।
বিএনপি অফিসের সামনে দায়িত্ব পালনরত গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর তাজুল বলেন, সারা বছরই বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের পাহারা থাকে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে অফিসটিতে বিএনপির কেউ আসছে না। আশপাশেও তাদের দেখা যায় না। কে তালা মারল জানতে চাইতে তিনি বলেন, এটা আমি জানি না। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওনাদের অফিস ওনারা তো খুলতেই পারেন। আমাদের ভয় পাবেন কেন?
জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে ১০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপি অফিসের পাহারায় থাকে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে অফিসটিকে ঘিরে আছে প্রায় ১০০ পুলিশ সদস্য। বিএনপি অফিস ও আশপাশের গলি এবং বিপরীত দিকে ভাসানী মিলনায়তনের পাশের গলিতে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছে। বর্তমানে এসব সদস্যের কার্যক্রম দেখভাল করছেন এসি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। কখনও কখনও পুলিশকে সাহায্য করতে বিএনপি অফিসের সামনে জলকামান ও রায়ট কারও এনে রাখা হয়। শনিবার গভীর রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস থেকে যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটক করার পর অফিসে তালা লাগান হয়। এরপর থেকে বন্ধ।