ক্রিকেটার রুবেলের জামিন শুনানি শেষ
স্পোর্টস ডেস্ক : নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে থাকা জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষ। রোববার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হবার পর দুপুরের আগে এ বিষয়ে আদেশের সময় ধার্য করেন আদালত। রুবেলের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে রুবেলের জামিন হওয়া উচিত। ভারতের ক্রিকেটার সিধু আদালতে দণ্ডিত হবার পর জামিনে বের হয়ে ভারত টিমকে বিজয়ী করেছেন। আইনের ইতিহাসে এসব নজির আছে।
নায়িকা হ্যাপির পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘সকালে ফাইল করেই শুনানির নজির কখনো আমরা দেখি নাই। আসামির পূর্ব ইতিহাস যদি ভাল থাকত তাহলে আদালত তা বিবেচনা করতে পারত। তা ছাড়া এ মামলায় ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট এখনো প্রকাশিত হয়নি। বিয়ের কথা বলে একটি মেয়েকে বারবার ধর্ষণ করবে। এমন ব্যক্তির জামিন হতে পারে না।’
তখন আদালত বলেন, ‘সব ব্যক্তি বা অভিযোগ এক হতে পারে না।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আনোয়ার সাদাতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে রুবেলকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেস এস এম আশিকুর রহমানের আদালত রুবেলের জামিননামার আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই দিন উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতে জামিননামার আবেদন করতে আদালতে আসেন রুবেল হোসেন। তখন তার আইনজীবীরা তার পক্ষে জামিননামার আবেদন করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ইং বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে এই মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ৯/১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবি করেন হ্যাপি। তিনি বলেন, ‘গত আট-নয় মাস ধরে রুবেলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে বিভিন্ন সময় আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু আমি যখনই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকি তখন সে টালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। এ অবস্থায় আমি মামলা করতে বাধ্য হলাম।’
মামলা দায়ের পর সেদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে নায়িকা হ্যাপিকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
উল্লেখ্য, নবাগত এ নায়িকা ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া তার কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী।