রোকনউদ্দিনঃ মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে বিএনপি। সে লক্ষ্যেই এগুচ্ছে দলটি। বিশ্ব ইজতেমা চলায় এখন অনেকটা নীরবই থাকছে দলটি। আগামী ১৮ জানুয়ারী শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। তার পরপরই জোরালো আন্দোলনের পথে হাঁটবে দলটি। এদিকে ইজতেমায় টানা অবরোধ কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।বিএনপির বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ জানুয়ারী বিএনপি নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিশাল মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঐদিনের সমাবেশের মাধ্যমেই কঠিন আন্দোলনের ডাক দিবেন দলের নেত্রী

bnp

ইতিমধ্যেই সমাবেশকে সফল করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশও দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। নেতাকর্মীরাও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য এইদেশ এইসময় কে জানান, বিশ্ব ইজতেমা শেষেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের কঠোরতা আরও বাড়বে।বাড়বে আন্দোলনের গতি। পাল্টাবে ধরণ ও কৌশল।সূত্র জানায়, এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে টানা অবরুদ্ধ করে রাখায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।সরকারের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে যেকোন মুহূর্তে নেত্রীকে মুক্ত করে মহাসমাবেশে হাজির করতে প্রস্তুতও রয়েছে দলের নেতাকর্মীরা। নির্দেশ পেলেই তারা অবরুদ্ধ নেত্রীকে মুক্ত করে রাজপথে আসার সকল পথ উন্মোচন করবেন।উল্লেখ্য, ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। আওয়ামীলীগও সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচী দেয়। দুই দলের কর্মসূচীকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে ডিএমপি ৪ জানুয়ারি রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ এবং মিছিল নিষিদ্ধ করেন। ঐদিন রাতেই বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অবশ্যই খালেদার অবরুদ্ধের বিষয়টিকে সরকার নাকোচ করে দিয়ে বলেছেন, তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি বরং তার নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে।