পেশোয়ারের সেই আর্মি স্কুলটি খুলেছে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পেশোয়ারের সেই আর্মি স্কুলটি খুলেছে। গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের তালেবান জঙ্গিরা স্কুলটিতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৪১ জনকে হত্যা করেছিল যাদের অধিকাংশই ছিল শিশু। এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর অনির্ধারিত সময়ের জন্য স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
সোমবার স্কুলটি খোলার প্রথম দিনে হামলায় নিহতদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার কথা রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বেশিরভাগ স্কুলই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সোমবার থেকে দেশের সবকটি স্কুলই খুলছে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর দায়ি ব্যাক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে একটি সামরিক আদালত প্রতিষ্টা করেছে পাকিস্তান সরকার। মৃত্যুদণ্ডের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং খাইবারে গত বছরের জুন থেকে শুরু হওয়া সন্ত্রাস বিরোধী সামরিক হামলার প্রতিশোধ হিসাবে তালেবানরা ওই স্কুলটিতে হামলা চালিয়েছিল। পেশোয়ারের ওই স্কুলটির অধিকাংশ শিক্ষার্থী হচ্ছে সেনা সদস্যদের ছেলেমেয়েরা।
ওই স্কুলে হামলার ঘটনায় তখন গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, সন্ত্রাসীরা আবারো তাদের দৃষ্টাচার দেখিয়েছে। এমনকি আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠীও এই হামলার সমালোচনা করেছিল।
হামলার পর দেশের স্কুলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পাক সরকার।
গত ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলের প্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সাত তালেবান হামলাকারী। তারা ক্লাসে ক্লাসে ঢুকে ১৪১ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এদের মধ্যে ১৩২ জনই স্কুলশিশু। আহত হয়েছে আরো ১২০ জন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে মারা যায় ওই সাত জঙ্গি।