বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » খেলা » এবারও রোনালদোর ব্যালন ডি’অর

এবারও রোনালদোর ব্যালন ডি’অর 

স্পোর্টস ডেস্কঃ রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই জিতলেন ২০১৪ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ফিফা ব্যালন ডি’অর। সুইজারল্যান্ডের জুরিখের ফিফা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত গালা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রোনালদোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেফ ব্ল্যাটার।ব্যালন ডি’অরের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় রোনালদো ছাড়াও ছিলেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি, বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। তবে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই দুই ফুটবলারকে হারিয়ে ঠিকই বর্ষসেরার শিরোপা জিতে নিলেন রোনালদো

ronaldo

এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এবং মোট তিনবার ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন রোনালদো। এর আগে ২০১৩ সালের বর্ষসেরা পুরস্কার ব্যালন ডি’অর এবং ২০০৮ সালে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন তিনি।শুধু তাই নয়, এবার নিয়ে সর্বশেষ সাত বছর ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিলেন মেসি এবং রোনালদো। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন বার্সা তারকা লিওনেল মেসি। গত বছর তাকে হারিয়ে পুরস্কারটি জিতে নেন রোনালদো।মূলতঃ সর্বশেষ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলিগসহ রিয়াল মাদ্রিদকে চারটি শিরোপা উপহার দেওয়ার সঙ্গে সর্বাধিক ৬১টি গোল করেছিলেন তিনি। লিওনেল মেসি নিজের দেশ আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেও শিরোপা জিততে পারেননি। শুধু তাই নয়, ক্লাবের হয়েও কোন কিছুই জিততে পারেননি তিনি গত বছর।সে হিসেবে ম্যানুয়েল ন্যুয়ারই ছিলেন রোনালদোর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু রোনালদো মেসির জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে হয় তাকে।বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা থেকেই শুরু হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় নানা অনুষ্ঠান। এ সময় একটা অংশ ভাগ করা হয়েছে পুরস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের মন্তব্যের জন্য। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই অংশ। এটাকে বলা হয়, ব্যালন ডি’অর শুরুর আগের প্রেস কন্ফারেন্সও।এ সময় বিশ্বব্যাপি ফুটবল ভক্তদের হ্যাশট্যাগযুক্ত নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তারকারা। এরপর দেওয়া হয় বিরতি। ১০টায় অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এ সময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ব ফুটবলের রথি-মহারথিদের। যাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক এবং বর্তমান ফুটবল তারকারা।এরপর রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। নানা আনুষ্ঠানিকতা। ব্যালন ডি’অর মনোনীতদের বক্তব্য আর বিভিন্ন ফটোসেশনের মধ্য দিয়েই এগুতে থাকে মূল অনুষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত দেওয়া শুরু হয় বিজয়ীদের পুরস্কার। সর্বপ্রথম দেওয়া হয় বর্ষসেরা মহিলা দলের কোচের পুরস্কার। এরপর দেওয়া হয় পুরুষ দলের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার। আনচেলত্তি আর দিয়েগো সিমিওনেকে হারিয়ে পুরস্কারটি জিতলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ জোয়াকিম লো।সেরা গোলদাতার পুরসকার, ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড পেলেন কলম্বিয়ান সেনসেশন হামেশ রদ্রিগেজ। বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিপক্ষে দুর্দন্ত গোলটি করেছিলেন হামেস।মহিলা বর্ষসেরা জিতলেন জার্মানির নাদিনে কেসলার। তিনি হারান যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবি ওয়ামবেখ আর ব্রাজিলের মার্তাকে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone