পেট্রোল বোমা মারাই ছিল তার কাজ!
নিজস্ব প্রতিবেদক : যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম রাসেল মিয়া (২৪)। এলাকার লোকজন তাকে বোমা রাসেল নামেই ডাকে। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন স্থানে বোমা মারাই তার কাজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাসেলের বাবার নাম আব্দুর রউফ সরকার। সোমবার দুপুরে নিহত রাসেলের বড়ভাই আকাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসে লাশ সনাক্ত করেন। আকাশ এই দেশ এই সময়কে জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায়। তারা বর্তমানে বসবাস করেন নারায়ণগঞ্জের পাগলা ভাবিরবাজার এলাকায়। সেখানে একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে রাসেল মাঝে মধ্যে কাজ করত। গত বৃহস্পতিবার সে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। এরপর তার আর খোঁজ মেলেনি। সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন আকাশ।
পুলিশ এবং পাগলা এলাকার বাসিন্দারা জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাসেল অনেকদিন থেকেই বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত। এর আগেও অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। এ জন্য কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলও খেটেছে সে। দিনে মোবাইলের দোকানে আড্ডা আর রাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেই রাসেল ‘বোমা রাসেল’ নামে পরিচিতি পেয়েছে পাগলা এলাকায়।এ প্রসঙ্গে পাগলা এলাকার বাসিন্দা আনিছ মিয়া এই দেশ এই সময়কে জানান, হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ায় বোমা রাসেল বিভিন্ন স্থানে বোমা মেরে টাকা কামাচ্ছিল বলে তারা শুনছিলেন। এলাকার অনেকেই জানেন রাসেল কোথায় বোমাবাজি করে।আনিছ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এলাকার লোকজন তার বোমা মারার একটি দৃশ্য দেখে ফেলে র্যা ব ও পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন। সেই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ হয়ত রাসেলকে ধরে নিয়ে গেছে। ওর শাস্তি হয়েছে। ও অনেক লোককে মেরেছে ।’এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনী শঙ্কর কর এই দেশ এই সময়কে জানান, যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে গতরাতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাসেল নিহত হন। এর আগে রাসেলকে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে ওত পেতে থাকা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায়। এতে পাল্টা পুলিশও গুলি চালায়। এসময় রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ওসি আরো বলেন, তিনি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, নিহত রাসেল ‘বোমা রাসেল’ নামেই পরিচিত। টাকা নিয়ে বাসে পেট্রোলবোমা মারাই তার কাজ। মাতুয়াইলে অন্যদের সঙ্গে রাসেলও পেট্রোলবোমা মেরেছিল। ময়না তদন্ত শেষে একটি মামলা রুজ্জু করা হবে বলে জানান ওসি।