তাদের সঙ্গে আলোচনা করলে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী। তাদের সঙ্গে আলোচনা করলে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো হীন-জঘন্য কাজ যারা করছে, তাদের রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী রোববার সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর কার্যপ্রণালী বিধির ৬৮ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে আনীত নোটিশের ওপর দেওয়া বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বিপন্ন হতে দিতে পারি না। তাদের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।
সে কথা বিবেচনা করেই আমরা পরীক্ষা এমন সময়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। স্বস্তির সঙ্গে নিরাপদে যাতে তারা পরীক্ষা দিতে পারে।’তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করি জনগণের জন্য। সেই জনগণকেই যদি কোনো দল হত্যা করে, এটাকে কি বলা যাবে? এটা রাজনীতির নামে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম। সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কার্যক্রম। বিএনপি-জামায়াত জোট এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমগুলোই করে যাচ্ছে।’শেখ হাসিনা বলেন, কিছু দরদী বলছেন তার (খালেদা) অফিসে নাকি খাবার যাচ্ছে না। অফিসে খাবার যাবে কেন? অফিস শেষে বাড়ি যাবে, বাড়িতে বসে খাবার-দাবার খাবে। সেখানে (খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে) নাকি প্রতিনিয়ত ৫০-৬০ জন মানুষ থাকে। এতো মানুষ সেখানে বসে কি করছে? উনি (খালেদা) অফিসে বসে কাদের পাহারা দিচ্ছেন? রাজনৈতিক কর্মী নাকি সন্ত্রাসী?প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী এবং জামায়াত জোট আসলে সুস্থ অবস্থায় নেই। তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটেছে বলেই তারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করছে। তাদের স্বার্থের জন্য তারা সব করতে পারে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘পহেলা জানুয়ারি আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিয়েছি। শিক্ষা বৃত্তি দিচ্ছি। কিন্তু আজ দেড় মাস তারা লেখাপড়া করতে পারছে না।’তিনি বলেন, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই উন্মাদদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। যারা মানুষ পোড়ানোর মতো জঘন্য কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা মানে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। তিনি (খালেদা) নিজে এবং সন্তানকে মামলা থেকে রক্ষা করতে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে।নোটিশের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডা. এনামুর রহমান, আবদুর রহমান, আবদুল মান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, মাহজাবীন মোরশেদ, স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।