কুমিরের সঙ্গে লড়ে মেয়েকে বাঁচালেন মা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পানিতে সব চেয়ে ভয়ংকর প্রাণী বলা হয় কুমিরকে। বলা যায়, বনে বাঘ মামা যেমন রাজা, তেমনি পানিতে কুমির। প্রাণনাশকারী এ প্রাণীর সঙ্গে নদীতে লড়াই করে মেয়েকে বাঁচানোর সাহস দেখিয়েছেন এক মা। কুমিরের চোয়াল থেকে মেয়েকে বের করে আনতে মায়ের অকুতোভয়ী সাহসের ঘটনা ভারতজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচিত এলাকা ও নিজের রাজ্য গুজরাটের ভাদোদারার পাদ্রা শহরের থিকারিয়ামুবারাক গ্রামে শুক্রবার এমনই ঘটনা ঘটেছে।বন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৯ বছর বয়স্ক তরুণী কান্তা বানকার বিশ্বমৈত্রী নদীতে কাপড় পরিষ্কার করতে যান। এ সময় একটি প্রাপ্ত বয়স্ক কুমির মেয়েটির একটি পা কামড়ে ধরে পানিতে টেনে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। তখন তার মা দিবালি পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মেয়ের চিৎকার শুনতে পারেন তিনি।মেয়েকে বাঁচাতে ‘সাহসী’ দিবালি এক হাত দিয়ে তার মেয়ের হাত ধরে অন্য হাতে কাপড় পরিষ্কার করার ব্যাট তুলে নেন। এটা দিয়ে কুমিরকে সজোর আঘাত করতে থাকেন তিনি। ১০ মিনিট ধরে কুমিরের সঙ্গে এ রকম লড়াই চলে। পরে কুমিরটি মেয়ের পা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে বাঁচে।কর্মকর্তারা জানান, পরে পায়ে মারাত্মক জখম অবস্থায় কান্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বন কর্মকর্তা অশোক পাণ্ডে বলেন, ‘তার মা জানান, তিনি তার মেয়েকে কুমিরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন। শনিবার তাদের এ রকম বিবৃতি আমরা পেয়েছি। আমরা এর আগে ওই নদী থেকে দূর থাকার জন্য এলাকাবাসীকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকে এখনো কাপড় পরিষ্কার করতে ওই নদীতে যান।’জানুয়ারিতে বনবিভাগের করা এক জরিপে বিশ্বমৈত্রী নদীতে ২৬০টির বেশি কুমির থাকার কথা বলা হয়।