পোশাকে বৈশাখী আমেজ
শারমিনা কবির : আসছে ১লা বৈশাখ। দিনটি উদ্যাপনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সারা দেশ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সাজবে লাল-সাদাতে।বৈশাখী আলোতে নিজেকে রাঙাতে ফ্যাশনহাউসগুলোর কালেকশনে রয়েছে নান্দনিক সব পোশাক। ১লা বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ত রাজধানীর বিপণী বিতানগুলো।বৈশাখে নারীরা সাধারণত লাল-সাদা শাড়ি। তবে শাড়িতে লাল ও সাদার সঙ্গে থাকতে পারে অন্যান্য রঙ। কিংবা অন্য কোনো রঙের শাড়িতে সেজে কপালের টিপ আর হাতের চুড়িতে থাকতে পারে বৈশাখের আমেজ।রাজধানীর নিউমার্কেটের বিক্রেতারা জানান, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে তৈরি সুতি কোটা, খাদি, ডুবি কটন, মসলিন, এন্ডি ও সিল্ক কাপড়ে তৈরি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ সব ধরনের পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে। তবে এখনো বৈশাখী বেচাবিক্রি জমে ওঠেনি। দুই এক দিনের মধ্যে বেচা-বিক্রি জমে উঠবে বলে তাদের আশা।গরম কিংবা অভ্যাস না থাকার কারণে শাড়িতে স্বস্তি বোধ করেন না অনেকেই। তারা অনায়াসে পরতে পারেন সালোয়ার-কামিজ বা কুর্তা-চুড়িদার। সেই সঙ্গে সাজটাও তো হতে হবে মানানসই। লম্বা বেণি, টিপ আর চুড়িতে থাকবে বৈশাখী আমেজ। বর্তমানে লম্বা কুর্তা, কামিজের সঙ্গে এই বৈশাখে চুড়িদার সালোয়ার বেশ চলছে। পরা যেতে পারে হাতকাটা, খাটো হাতা, ঘটিহাতা, এমনকি ফুলহাতা কামিজ।
বৈশাখের পোশাকের চিরায়ত রং লাল-সাদার পাশাপাশি পরা যেতে পারে হলুদ, সবুজ, নীল, কমলা ও ম্যাজেন্টাসহ নানা রংয়ের সংমিশ্রণে তৈরি পোশাক। একটু ঘেরওয়ালা ফ্রক-কাট কামিজ, লম্বা কুর্তা, আনারকলি কামিজ ও পরা যেতে পারে ওই দিন।বৈশাখে তরুণদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, বৈশাখী শার্ট, গামছাসহ কিছু নতুন ও ব্যতিক্রমী প্রসাধনী সামগ্রী। ফতুয়ায় থাকতে পারে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ঢোল। পাঞ্জাবির চাহিদা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এ সময়টাতে থাকে একটু বেশি। হাতে হাল্কা লাল রংয়ের কাজ, গলা ও পিঠে সাদামাটা লালের ছটায় বর্ণিল পাঞ্জাবিগুলো পরলে মন্দ লাগে না।ছোট ছেলেদের জন্য মর্কেটগুলোতে রয়েছে ফতুয়া, শার্ট, টিশার্ট আর পাঞ্জাবি। তাদের অধিকাংশ পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাতলা সুতি ও খাদি কাপড়। পাঞ্জাবিতে সাদা ও লাল রঙ প্রাধান্য থাকলে পাঞ্জাবির হাতে, গলায় বা পাশে অন্যান্য রঙের ব্যাবহারও দেখা গেছে। পাওয়া যাচ্ছে সুতি বা খাদি কাপড়ের শার্ট ও হাফ প্যান্টের সেট। আছে ফতুয়া ও টিশার্ট।মেয়েদের সালওয়ার কামিজ ও ফতুয়ার ক্ষেত্রে লাল, সাদার পাশাপাশি গোলাপি ও কমলা রঙটাই প্রাধান্য পেয়েছে। পোশাকে রয়েছে এমব্রয়ডারি ওয়ার্ক, স্কিন প্রিন্ট, এপ্লিকের কাজ।আছে ব্লকেরও কাজ।প্রতি বছরই অঞ্জনস, রঙ, নাগরদোলা, সাদাকালো, বিবিয়ানা, দেশাল, প্রবর্তনা, বাংলার মেলা, কে ক্রাফটের নিজস্ব ডিজাইনারদের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, ছোটদের পোশাকে অপরূপ রূপে সাজায়। এবারও সেই সাজে রয়েছে ধারাবাহিকতা।