সিটি নির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে : সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে কি-না সে বিষয়ে ১৯ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সিইসি আজ রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, নির্বাচনকালীন কাউকে যাতে অযথা হয়রানি করা না হয়।
তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট সম্পন্ন করার জন্য আপনারা সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। নির্বাচনের প্রতিটা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিজেকে বিপদগ্রস্ত করবেন না।’
সিইসি বলেন, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের প্রতীকে ভোটারিধকার প্রযোগ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের স্ব-স্ব প্রচারণা চালাতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, ‘আসুন সকলে মিলে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে তুলি। সেদিনটি আসুক, যেদিন নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজন হবে না ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োগের। আসুন, গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র পরমত সহিষ্ণুতার মধ্য দিয়ে ভোটারদের রায় খোলা মনে নেয়ার সংস্কৃতির চর্চা করি।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, জাবেদ আলী ও মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানান মিয়া, উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলমসহ ইসি সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে বিভিন্ন সুপারিশ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
আগামীকাল একই স্থানে সকাল ১১টায় দক্ষিণ সিটির প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।