খাওয়ানো হলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় এবার সারাদেশে সোয়া দুই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হলো।আজ সকালে রাজধানীর আইসিডিডিআর’বি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল তিনি কয়েকজন শিশুর মুখে তুলে খাওয়ান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শতভাগ উন্নীতকরণের কারণে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা এক ভাগের নিচে নেমে এসেছে।
ফাস্টফুডসহ বিভিন্ন ভেজাল খাবার খাওয়ানো থেকে শিশুদের বিরত রাখতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবান জাতি গড়ে তুলতে চাইলে সরকারের পাশাপাশি পরিবারের দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ, পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার, জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (আপিএইচএন) পরিচালক ডা. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় শনিবার দুই কোটি ১৫ লাখেরও বেশি শিশুকে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রীজের টোল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিন জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করে। প্রতিটি ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।এছাড়া ক্যাম্পেইন দিবসে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হয়। এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়।