শিরোপার কাছাকাছি চেলসি
এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালকে রুখে দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে চেলসি। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হওয়ায় চেলসিকে শিরোপা উৎসবের জন্য অন্তত আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
শারীরিক প্রতিরোধের এই ম্যাচে চেলসি প্রথমার্ধে তিনটি পেনাল্টির আবেদন করেছিল। আর্সেনাল করেছিল একটি। কিন্তু সবগুলোই ইংলিশ রেফারী মাইকেল অলিভার পাশ কাটিয়ে যান। এই ড্রয়ের ফলে আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার সিটির থেকে ১০ পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ব্লুজরা। তবে ম্যাচটিতে জিততে পারলে বুধবার লিস্টারশায়ারের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ী হলেই শিরোপা উৎসব করতে পারতো চেলসি। কিন্তু এখন তাদেরকে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে আগামী রোববার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এই ড্রয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় আর্সেনালের টানা নয় ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিকতা শেষ হলো। কিন্তু হোসে মরিনহোর বিপক্ষে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ১২ ম্যাচ জয়হীন থাকার রেকর্ড আরো লম্বা হলো। চেলসির থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে বেশ ভালভাবেই জায়গা করে নিয়েছে আর্সেনাল। ম্যানচেস্টার সিটির সাথে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গানার্সরা। তাদের থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
দিয়েগো কস্তা এবং লোয়িক রেমাই ইনজুরিতে এবং দিদিয়ের দ্রগবা পুরোপুরি ফিট না থাকায় চেলসি ম্যানেজার হোসে মরিনহো মূল একাদশে কোন বিশেষজ্ঞ স্ট্রাইকার না নামিয়ে বিস্ময় উপহার দিয়েছিলেন। অস্কারই কিছুটা উপরে উঠে খেলতে থাকেন এবং প্রথম দুটি পেনাল্টির ঘটনায় তিনিই জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে হেক্টর বেলেরিন তাকে চ্যালেঞ্জ করলেও রেফারী মাইকেল অলিভার খেলা চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। আট বছর কাটানো পুরনো ক্লাবে ফিরে এসে চেলসি মিডফিল্ডার সেস ফ্যাব্রেগাসও নিজেকে খুব একটা প্রমান করতে পারেননি। তার পাস থেকে অবশ্য আর্সেনালের বক্সে ওস্কারের দাবী জানানো দ্বিতীয় পেনাল্টিও রেফারী নাকচ করে দেন।
২৪ মিনিটে সান্টি কাজোরলার বিপক্ষে ফ্যাব্রেগাস আবারো পেনাল্টির আবেদন জানালে এবারো রেফারী কোন সাড়া দেননি। উল্টো ফ্যাব্রেগাসকে হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করে দেন। ১০ মিনিট পরে অবশ্য স্বাগতিকদের পক্ষ থেকে পেনাল্টির আবেদন আসে। বেলেরিনের ভলির ক্রস থেকে কাজোরলার স্ট্রাইক গ্যারি কাহিলের হাতে লাগলেও অলিভার এবারো তাতে কোন সাড়া দেননি। এর পরমুহূর্তে চেলসি ম্যাচের সবচেয়ে ভাল সুযোগটি হাতছাড়া করে। উইলিয়ানের বাড়ানো পাসে রামিরেসের শট সহজেই আটকে দেন ওসপিনা। কাউন্টার এ্যাটাকে মেসুত ওজিলের শট চেলসির গোলরক্ষক থিবাট কোরটোয়িস রুখে দেন। বিরতির আগ মুহূর্তে ওসপিনার সাথে ধাক্কা লেগে ওস্কার মাঠছাড়া হলে বিরতির পরে দ্রগবাকে মাঠে নামান মরিনহো।
প্রথমার্ধ খুব একটা ভাল না কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধে চেলসি নিজেদের ফিরে পাবার প্রত্যয়ে মাঠে নামে। তারা আর্সেনালকে আক্রমনের আহবান জানায় এবং নিজেরা কাউন্টার এ্যাটাকের প্রহর গুনতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্রগবা এবং উইলিয়ানের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত কোন দলই ডেডলক ভাঙ্গতে পারেনি।