পিন্টুর দাফন সম্পন্ন
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় মরহুমের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে হাজারীবাগের লেদার টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট মাঠে তৃতীয় জানাজা হয়। এ সময় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনে পিন্টুর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় তার নিজ বাসভবনে।
নয়াপল্টনে পিন্টুর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। পিন্টুর জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শাহাজাদা মিয়া, নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদারসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
জানাজা পূর্ব বক্তব্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মরহুম নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু একজন উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল নেতা ছিলেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ’
সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় রাজশাহী থেকে পুরান ঢাকার হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডের পিন্টুর বাসায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এর আগে পিন্টুর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ। এর পর শহরের হেতেম খাঁ মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় পরিবার।
রোববার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কারাবন্দি বিএনপির এই নেতা। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৩ সালের নভেম্বরে বিডিআর হত্যা মামলার রায়ে পিন্টুসহ ১৫২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।