আবার ঢাকা-রোম-ঢাকা বিমানের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বছরের এপ্রিলে বন্ধ হওয়ার পর ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশীদের চাপের মুখে বিমান এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে। ইতোমধ্যে বিমান চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক শাহনেওয়াজকে এ নির্দেশ দেন।
জানা যায়, ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা ও ইউরোপ আওয়ামী লীগের মহাসচিব জিএম কিবরিয়ার নেতৃত্বে একটি দল সম্প্রতি বলাকা অফিসে বিমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় জিএম কিবরিয়া তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, বিমানের ইতালি ফ্লাইট লাভজনক করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ঢাকা থেকে আর কোন এয়ারলাইন্সের সরাসরি রোম ফ্লাইট নেই। বাংলাদেশী যাত্রী ছাড়াও ইতালি থেকে ঢাকামুখী যাত্রী পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ঢাকা থেকে নেপাল, মিয়ানমার কানেক্টিং ফ্লাইট দেয়া হলে মিলবে বিদেশী যাত্রীও।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এপ্রিলে যখন বিমানের শেষ ফ্লাইট বন্ধ করা হয় তখন গড়ে দুই শতাধিক যাত্রী আসত। যাত্রী সংখ্যা বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যেমন ইতালিতে প্রায় তিন লাখের মতো বাংলাদেশী থাকেন। এদের বেশিরভাগই থাকেন ভেনিসে। যদি ঢাকা থেকে ভেনিস ও রোম হয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় তাহলে যাত্রী সংখ্যাও বাড়বে।
এ বিষয়ে পরিচালক শাহনেওয়াজ বলেন, ইতালি চালুর আগে মার্কেট সমীক্ষা করতে হবে। ঢাকা-লন্ডন-ভেনিস ও রোম-লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইট চালু করা যায় কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ সম্পর্কে জিএম কিবরিয়া বলেন, ইতালি থেকে প্রবাসীরা নানাভাবে দেশে আসা-যাওয়া করেন। ঢাকা-রোম-ঢাকা বিমান যদি আবারও চালু করা হয়, তাহলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। তেমনি আমাদেরও কষ্ট হবে না।
খুব শীঘ্রই ঢাকা-রোম-ঢাকা বিমানের রুটটি চালু করার আহ্বান জানিয়ে কিবরিয়া বলেন, ‘প্রবাসে আমাদের ভাইবোন মারা গেলে আমরা বিনা খরচে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে আগে দেশে তাদের লাশ পাঠাতাম। কিন্তু রুটটি এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১০ হাজার ইউরো খরচ করেও লাশ পাঠাতে পারি না। ফলে ৩০ বাংলাদেশীর লাশ ইতালির বিভিন্ন হিমাগারে পড়ে আছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ইতালি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে ইতালি রুট পুনরায় চালুর দাবি জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও এ রুট চালুর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার। এরপর বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করলে তিনি তাদের বলাকায় বিমান চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ সম্পর্কে এয়ারমার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতালি ফ্লাইট লাভজনক করা খুব কঠিন। তারপরও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কিভাবে এটা লাভজনক না হলেও সম্মানজনক যাত্রী সংখ্যা বাড়ানো যায়। –