সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের মালিকানা দ্বন্দ্বে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ট্রেড কর্পোরেশন(বিটিসি)-অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ডক্টর অশোক গুপ্ত এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম.এ.হান্নান ফিরোজের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস নিয়ে মালিকানা দ্বন্দ্ব চলছে। এ সম্পর্কে ইউজিসি(ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বাংলাদেশ) দুপক্ষকেই নিজেদের স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলে। মঙ্গলবার দুপুরে দুপক্ষ ইউজিসিতে উপস্থিত ছিলেন।
বিটিসির চ্যায়ারম্যান ড. অশোক গুপ্ত বলেন, ‘৫১, সিদ্ধেশ্বরী রুশ সরকারের সম্পত্তি।বাংলাদেশ ট্রেড কর্পোরেশন ২০ বছরের জন্য এই সম্পত্তি রুশ সরকার থেকে লিজ নেয়। ২০০২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই চুক্তির মেয়াদ। বিটিসি ভাড়াটিয়া হিসেবে সম্পত্তির একাংশ স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাড়া দেয়। এ সম্পর্কে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তিতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে প্রতি মাসে ১৮ লাখ টাকা এবং বছরে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিটিসিকে প্রদান করবে। আগের সব চুক্তি বাতিল করে এই চুক্তি ২০১৬ পর্যন্ত এ চুক্তি বলবৎ থাকবে। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ভাড়া বাবদ স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে চেক প্রদান করে, তা পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে চেক ফেরত হয়।’
এ সম্পর্কে বিটিসি চ্যায়ারম্যান আরও বলেন, ‘স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ২০০৩,২০০৯, ২০১২ সনে ৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১২ সালের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই হান্নান ফিরোজের আকুল আবেদন ও ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা সাপেক্ষে আরো ৫ বছর মৌখিকভাবে জায়গা ব্যবহার আমি অনুমোদন করি। তবে শর্ত দেই, ২০১৭ সালের মধ্যে এই ক্যাম্পাস সরিয়ে নেয়া হবে। হান্নান ফিরোজ ঠিক মত ভাড়া প্রদান করতেন না। বর্তমানে বিটিসি ভাড়া বাবদ তার কাছে ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা পায়। ২০১৫ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে নোটিশ প্রদান করা হলে তারা এ ব্যাপারে সঠিক জবাব প্রদান করেন নি। এই সমস্যা গুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে লিখিতভাবে দেয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে আমরা আজ ইউজিসিতে আসি।’
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হান্নান ফিরোজের উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি ইউজিসিতে উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে ইউজিসিতে কথা হয় স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফজলে রাব্বি তাজ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজী নই।’###
আরএম
তার সাথে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিন মো. মিজানুর রহমান। তিনি দাবি করেন, তাদের বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এর প্রমাণ স্বরুপ তিনি কোন দলিল উপস্থাপন করেন নি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমকে ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।