জাতিসংঘের প্রস্তাবে পরিবর্তনের অঙ্গীকার ট্রাম্পের
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বন্ধের পক্ষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রায় দেয়ার পর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী মাসে হোয়াইট হাউজে শপথ নেয়ার পর জাতিসংঘে পাস হওয়া প্রস্তাবে পরিবর্তন আসতে পারে বলে এক টুইট বার্তায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন বন্ধের একটি প্রস্তাব পাস হয়। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভেনেজুয়েলা, সেনেগাল ও মিসর কর্তৃক প্রস্তাবটি শুক্রবার উপস্থাপন করা হয়েছিল।
তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় মিসর।
আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাবে ভেটো দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প ও ইসরায়েল। কিন্তু ভেটো দেয়া থেকে বিরত থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য ১৪ সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় তা পাস হয়।
৮ বছর পর প্রথমবারের মতো এ প্রস্তাব পাস হলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। ফিলিস্তিনি আলোচক সায়েব এরাকাত বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের বিজয়ী হওয়ার দিন আজ, সভ্যতার ভাষা ও আলোচনার জন্য একটি জয় এবং ইসরায়েলি চরমপন্থী বাহিনীর সুস্পষ্ট প্রত্যাখ্যান।
এদিকে, জাতিসংঘে পাস হওয়া এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে নিউ জিল্যান্ড ও সেনেগালে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘জাতিসংঘে ইসরায়েলবিরোধী লজ্জাজনক এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল। এর কোনো শর্ত মানতে বাধ্য নয় তার দেশ।’