৮১ বছরে এমন জয় দেখেনি অস্ট্রেলিয়া!
পেস বোলিংই তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে পুনে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা দেখিয়েছেন আধিপত্য। দুই স্পিনার স্টিভ ও’কিফ ও নাথান লায়নের ঘূর্ণি-জাদুতে বিধ্বস্ত হয়ে ভারত তিন দিনেই ম্যাচ হেরেছে।
অস্ট্রেলিয়ার দুই পেস বোলিং অস্ত্র মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডের তেমন একটা প্রয়োজনই পড়েনি। দুজন মিলে ভারতের প্রথম ইনিংসের তিন উইকেট তুলে নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের পরের ১৭ উইকেটই নিয়েছেন ও’কিফ আর লায়ন। এর মধ্যে ও’কিফই ১২টি, লায়ন ৫টি। দুই ইনিংস মিলিয়ে স্টার্ক-হ্যাজেলউড বোলিং করেছেন মোটে ২০ ওভার- ১২০ বল। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ তো বোলিংই করেননি।
পুনেতে স্টার্ক-হ্যাজেলউডের ১২০ ডেলিভারি কোনো সম্পন্ন টেস্টে (যেখানে প্রতিপক্ষ দুবার ব্যাট করেছে) অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তৃতীয় সর্বনিম্ন বল করার নজির। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের পর সবচেয়ে কম। গত ৮১ বছরে পেসারদের এত কম বল করার টেস্ট জয় দেখেনি অস্ট্রেলিয়া।
১৯৩৬ সালে কেপ টাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন ত্রয়ী বিল ও’রিলি, ক্লারি গ্রিমেট ও চাক ফ্লেটউড ছিলেন একরকম অপ্রতিরোধ্য। এই ত্রয়ীর স্পিন বিষে নীল হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিন স্পিনার উইকেট নিয়েছিলেন ১৮টি, পেসাররা ১টি, অপরটি রানআউট। ম্যাচে দুই অস্ট্রেলিয়ান পেসার আরনি ম্যাকরোমিক ও স্ট্যান ম্যাকবি বল করেছিলেন মাত্র ৬ ওভার- ৩৬ বল। যেটি কোনো সম্পন্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের সবচেয়ে কম বল করার নজির।
আর মাত্র একবারই কোনো সম্পন্ন টেস্টে ১২০ বা এর কম বল করেছেন অসিরা পেসাররা। ১৯০২-০১ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা বল করেছিলেন মাত্র ৬০টি।
টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সবচেয় কম ডেলিভারি (যেখানে প্রতিপক্ষ দুবার ব্যাট করেছে)
বল প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
৩৬ দক্ষিণ আফ্রিকা কেপ টাউন ১৯৩৬
৬০ ইংল্যান্ড মেলবোর্ন ১৯০২
১২০ ভরত পুনে ২০১৭
১৩৮ দক্ষিণ আফ্রিকা মেলবোর্ন ১৯৩২
১৫০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিডনি ১৯৩১
তথ্যসূত্র ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।