দেশ বেচে দিলাম নাকি নিয়ে ফিরলাম?
বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
আজ সোমবার সকালে নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সম্মেলনে দুই দেশের চার শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের একপর্যায়ে বাংলায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপির দেশ বেচে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘এখানে আসার আগে কত কথাই শুনলাম। দেশ বেচে দেওয়ার কথা শুনলাম। যারা দেশ বেচে দেওয়ার কথা বলেন, তাঁরা অর্বাচীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে তা দূর করতে হবে। ঝগড়াঝাঁটি করে নয়। এখন আপনারাই ঠিক করুন। দেশ বেচে দিলাম, নাকি নিয়ে ফিরলাম, তা আপনারাই বলবেন।’
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরাই এখানে আসতে চেয়েছেন, তাঁদের কাউকে আমি নিষেধ করিনি। এখন আপনারা ভালো পার্টনার খুঁজে নিন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার না। আমাদের লক্ষ্য সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
ভারতের তিনটি ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনের আগে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রধান উপদেষ্টা সুশান্ত সেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশিদের খুব ঘনিষ্ঠ মনে করি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা সহজ করতে পারলে আমরা খুশি হব।’ তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক সফরের কোনো বিকল্প নেই। ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে যাওয়া প্রয়োজন। তাঁরা চান, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও ভারতে আসুক।
সুশান্ত সেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ভারতে বিনিয়োগ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভারসাম্য প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করতে পারে। বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চাই। কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।’
সিসিআইয়ের অর্থনৈতিক নীতি ও গবেষণা–বিষয়ক পরিচালক শোভা আহুজা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সিসিআইয়ের আঞ্চলিক পরিচালক মনীশ মোহন বলেন, সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।