নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন। একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে গত ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন।
সেনাবাহিনীর বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ওই রায়ে; বাকি নয়জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আছেন তারা হাই কোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাই কোর্টে আসে।
এরপর প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এ মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে ২২ মে আপিল শুনানি শুরু হয়।