বিশেষ ইকোনমিক জোনে জাপান বিনিয়োগ করবে
১০০টি বিশেষ ইকোনমিক জোনের একটিতে জাপানের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আজ এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় এ কথা জানানো হয়। দশ বছর আগে ইপিজেডে জাপানের ৩৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ছিল, এখন সেখানে ৩৫০টি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে।
সচিবালয়ে গতকাল জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবোর সাথে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশকে অস্ত্র ও হ্যান্ড গ্লোভস ছাড়া সকল পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ জাপানে ১ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে,একই সময়ে আমদানি করেছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,তৈরী পোশাক,চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জাপানে। কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল জাপান সফর করবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন,বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। এখানে শতভাগ মূলধন বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।প্রয়োজনে বিনিয়োগকারী মূলধন ও লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। সরকার আইন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন,বাংলাদেশ জাপানের ভালো বন্ধু। আগামীতে বাংলাদেশের সাথে জাপানের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।জাপানের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করবে।
এ সময় বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।