বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা : হাইকোর্টের রায় কাল ১৩ আগস্ট

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা : হাইকোর্টের রায় কাল ১৩ আগস্ট 

2017-08-12_6_246564

বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনার মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের ওপর কাল রোববার ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য রয়েছে।
বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষে গত ২৬ জুলাই রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করে আদেশ দেয়।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, এডভোকেট এস এম শাহজাহান, এডভোকেট মো. আহসান উল¬াহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী এটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
শুনানিতে এটর্নি জেনারেল বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখার আর্জি পেশ করেন।
তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে এবং বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
গত ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। সাত খুন মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা, এমদাদুল হক (হাবিলদার), বেলাল হোসেন, আবু তৈয়ব, শিহাব উদ্দিন, এসআই সুনেন্দু বালা, পূর্ণেন্দু বালা, আসাদুজ্জামানূর, মূর্তজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান বিপু, আবুল বাশার ও রহম আলীসহ ২০ আসামী হাইকোর্টে নিয়মিত আপিল ও জেল আপিল দায়ের করেছেন।
চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যৃদন্ড দিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় দেয়। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওইদিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেয় বিচারিক আদালত। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এ মামলার পেপার বুক প্রস্তুতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হয়। সে আলোকে গত ৭ মে মামলার পেপার বুক হাইকোর্টে এসেছে।পেপারবুকটি প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone