‘রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির অফিসকে বিতর্কিত করেছেন বলে মন্তব্য বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের একমাত্র ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি তাকে এবং প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করার আগে নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র উদ্যোগে “বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান : কোন পথে বাংলাদেশ ?”- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১/১১ সরকার ছাড়া আ.লীগকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না উল্লেখ করে দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও একটি ১/১১ চান। কারণ আওয়ামী লীগ এতই অপকর্ম করেছে যে ঔ ধরনের সরকার ছাড়া তাদেরকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভাল করেই জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় তারা কোন ভাবেই আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। দুর্নীতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক,রূপালী ব্যাংক,বেসিক ব্যাংক, শেয়ার মার্কেট সহ-অসংখ্য ব্যাংক তারা ফাঁকা করে ফেলেছেন। মানুষ এখন নিজেদের ঘরের মধ্যে থাকতেও ভয় পায়। আওয়ামী লীগ এতই অপকর্ম করেছে যে একমাত্র ১/১১ সরকার ছাড়া তাদেরকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চাইছেন এমন মন্তব্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়ে দেশের সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে তার এমন বক্তব্যে জাতি লজ্জিত হয়েছে। তার (প্রধানমন্ত্রী) দেয়া বক্তব্যকে অনুসরণ করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সবাই প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে যেকোন সময় যেকোন কিছু ঘটতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি শহীদ উন নবী ডাবলুর সঞ্চালনায় এবং দলটির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা- এডভোকেট তৈয়মুর আলম খন্দকার ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাপের যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা প্রমুখ।