দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার নতুন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণের চুক্তি কাল
বাজার ১২৮ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের চুক্তি আগামিকাল শনিবার ঢাকায় স্বাক্ষরিত হবে।
এদিন, বিকাল ৩টায় রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি’র উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্পে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ৩০জুন এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু ও মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ঘুনধুম হয়ে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার দীর্গ এই সিঙ্গেল ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ ‘ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ’ (টিএআর)-এর সাথে সংযুক্ত হওয়া এবং পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
বাংলাদেশ ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর ২০তম রাষ্ট্র হিসাবে ‘ইন্টার গভার্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট অন দি ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর একনেকে-এর সভায় নতুন ‘ডুয়েল গেজ ট্র্যাক’ নির্মাণ অনুমোদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে। ২৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দোহাজারী থেকে রামু ও ঘুনধুম সীমান্ত হয়ে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এই প্রকল্পের জন্য পরামর্শকদের চূড়ান্ত খসড়া সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জমা দেওয়া হয়। পরবর্তিতে ‘ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ’-এ সংযুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে ‘ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন ট্র্যাক’ নির্মাণের জন্য এই প্রকল্পে সংশোধনী আনা হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, রামু, সদর ও উখিয়া উপজেলা হয়ে বান্দবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পর্যন্ত (মিয়ানমার সীমান্ত) যাবে। এর মধ্যে চন্দনাইশ থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত (মিয়ানমার সীমান্ত) ২৮ কিলোমিটার।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের জন্য রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে ঢাকার রেলভবনে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিমূল্য প্রায় ৪১৭ কোটি টাকা এবং এই চুক্তির মেয়াদ ৬০ মাস। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চুক্তিতে ৫ টি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- এসএমইকে (স্মেক) ইন্টারন্যাশনাল (অস্ট্রেলিয়া), কানারেল কনসালট্যান্টস (কানাডা), সিস্ট্রা (ফ্রান্স), এসিই কনসালট্যান্টস (বাংলাদেশ) এবং স্ট্রাটেজি কনসালট্যান্টস (বাংলাদেশ)।
এ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান ও স্মেক এর পক্ষে এ এস সাবাহ।