ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশের জন্য ড. এনামুল হক স্মরণীয় হয়ে থাকবেন
শিক্ষাবিদ, গবেষক, ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠানে আলোচকরা বলেছেন, বাংলা ভাষার উন্নয়ন, সাহিত্যের প্রসার, শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতি ও তাদের সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে বিপুল কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বক্তারা বলেন, অসাধারণ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ছিলেন তিনি। বিভিন্ন ভাষায় পন্ডিত ড. এনামুল হক বাংলা একাডেমিতে কর্মরত অবস্থায় এই প্রতিষ্ঠানকেও গবেষণার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একাডেমীর আঞ্চলিক ভাষার অভিধান প্রণয়ন করে ভাষার প্রসার ঘটিয়েছেন।
রোববার বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্মারস্বত সাধনা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। এতে স্মারক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম সভাপতিত্ব করনে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা বলেন, মধ্যযুগের সাহিত্য, বাংলা সাহিত্যে সুফীবাদ, সুফীদের নিয়ে লেখা, গবেষণায় এনামুল হক পথিকৃত। বাংলা ভাষার সংস্কারে এবং ভাষার সামগ্রিকতা নিয়ে কাজ করেছেন। সুফী সাহিত্যের গবেষনায় তিনি বলেছেন, সুফী সাধকরা অসাম্প্রদায়িক। তেমনি বৈদ্য সংস্কৃতি ও বৈষ্ণব সংস্কৃতির দর্শনও একইধারার বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
অধ্যাপক শামসুমজ্জামান খান বলেন, সাহিত্য কোষ রচনা, বাংলা ভাষার আঞ্চলিক অভিধান রচনা, সুফীবাদের মহাত্য আবিস্কার করে ড. এনামুল হক বাংলা ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসারের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে গেছেন। তিনি বাংলা একাডেমীতে কাজ করার সময় সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি একাডেমীর কার্যক্রম গতিশীল করেছেন। একাডেমীর গবেষণাকর্মেও বিপুল কাজ করেছেন। এ সব কাজের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল কাইউম বলেন, ড. মুহম্মদ এনামুল হক ছিলেন অসাধারণ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্ব। ছিলেন মেধাবী। অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছিলেন। তার শিক্ষা প্রদানের বৈশিষ্ট ছিলো অন্যদের চেয়ে ভিন্নতর। ভাষার উন্নয়নে কাজ করেন। পরিভাষা রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে তিনিই প্রথম প্রবন্ধ লিখেছিলেন।