রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রোহিঙ্গাদেরকে স্বদেশ ভূমি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে সুইস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেন্সটেইন রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন রাষ্ট্রপতির বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, তিনি (রাষ্ট্রপতি) রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু একটি বড় সমস্যা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সহিংসতার কারণে যে সকল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাদেরকে ফেরৎ নিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য আমি আপনার দেশের (সুইজারল্যান্ড) সহযোগিতা কামনা করছি।’
আবদুল হামিদ রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে তাকে তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দৃঢ় ভূমিকা রাখবেন।
আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বর্তমানে বিরাজমান সম্পর্ককে ‘খুবই চমৎকার’ বলে উল্লেখ করে বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুইস সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত হোলেন্সটেইন বাংলাদেশের লক্ষ্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ ও সুন্দর সমাজ গঠন এবং সময়ের প্রয়োজনে মানবিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে সুইজারল্যান্ডের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থার ভিত্তিতে সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে সর্বদা চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম যে সব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে সুইজারল্যান্ড তার মধ্যে একটি।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।