স্মৃতিভ্রংশ ও খাবার
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের নানা পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে একটি হলো বিস্মৃতি। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন, এমন মানুষ কম নন। বিস্মৃতি ছাড়াও এতে বৃদ্ধিবৃত্তির অবনতি, উদাসীনতা, কথা বলতে সমস্যা, কথা জড়িয়ে আসা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। বিস্মৃতির এই রোগের জন্য মস্তিষ্কের বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে দায়ী করা হলেও ইদানীং বলা হচ্ছে, কিছু খাদ্যাভ্যাস এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
সিলিকন ও কোলিনযুক্ত খাবার এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। খাবার প্রক্রিয়াজাত ও রান্না করার সময় সিলিকন নষ্ট হয়ে যায়। সিলিকনকে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে ইদানীং। গরুর মগজ, কলিজা, লেটুস পাতা, পেঁয়াজ, গাঢ় সবুজ সবজি, দুধ, নারকেল ইত্যাদি খাওয়া ভালো। ময়দার চেয়ে আটায় সিলিকন বেশি।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড খেতে হবে পর্যাপ্ত। কোলিন নামের অ্যামিনো অ্যাসিড আছে শিম, বরবটি ও বীজ জাতীয় খাবারে, যা মস্তিষ্কে এসিটাইল কোলিন নামের গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়ক। এ ছাড়া বলা হয় ওমেগা ৩ ফ্যাট বিস্মৃতির ঝুঁকি প্রায় ২৫ শতাংশ কমাতে পারে। এই ফ্যাট আছে মাছ, বাদাম ও জলপাই তেলে। দারুচিনি, হলুদ, পেঁয়াজ, ধনেপাতার মতো মসলা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েড প্রোটিন কম জমে ও প্রদাহ কম হয় বলে প্রাচ্যের লোকেদের পাশ্চাত্যের তুলনায় আলঝেইমার রোগ কম হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেদানা, আনার, আপেল, জাম্বুরা ইত্যাদিও মস্তিষ্কে প্রদাহবিরোধী।