রোহিঙ্গাদের কলেরার ভ্যাকসিন দেয়া হবে আজ থেকে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বলপূর্বক নিজ দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমান নাগরিকদের আজ থেকে কলেরা ভ্যাকসিন (ওসিভি) দেয়া হবে।
তিনি গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কলেরা প্রতিরোধে রোহিঙ্গাসহ ৯ লাখ মানুষকে কলেরা ভ্যাকসিন খাওয়ানোর জন্য আমরা সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচি শুরু করব।’
‘দুই সপ্তাহ পর পাঁচ বছরের কম আড়াই লাখ শিশুকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ খাওয়ানো হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ছয় মাস পর কক্সবাজার ও টেকনাফে বোস্টার ডোজ দেয়া হবে, যেখানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগণ আশ্রয় নিয়েছে।
মোঃ নাসিম বলেন, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ অর্থ্যাৎ ‘মানবতার মা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিষয় হিসেবে মাতৃস্নেহে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদেরকে বাসস্থান, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’
নাসিম বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেও মিয়ানমার নাগরিকদের যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা শিশুদেরকে ‘হাম-মাম্পস-রুবেলা (এমএমআর)’, ‘ট্রিভেলেন্ট ওয়াল পোলিও ভাইরাস (ওপিভি)’ ভ্যাকসিন ও ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তস্বত্বা মহিলা ও যে সকল মানুষের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগ রয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ পর্যন্ত মোট ১৯ জন রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে এইচআইভি পজেটিভ চিহ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এইচআইভি পজেটিভ বহন করা ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে এবং রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে এইচআইভি/এইডসসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ নির্ণয়ে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে কয়েকটি মেডিকেল টিম প্রেরণ করা হয়েছে।