রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মানবতার ভূয়সী প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যে মানবতা দেখিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তিনি এ ব্যাপারে সমগ্র বিশ্বকে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহবান জানাবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে তার কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, পরিচালক মিরান আলী ও মোঃ মুনির হোসেন।
সাক্ষাৎকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ চলতি বছরের প্রথম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে যে পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে, তা উপস্থাপন করলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পরিস্থিতি উন্নয়নে কয়েকটি বিষয়ে আরও কাজ করার পরামর্শ দেন।
তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে চট্রগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা, দক্ষতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে বলেন , লীড টাইম মোকাবেলা করার জন্য চট্রগ্রাম বন্দরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মেশিনারীজ ক্রয় করে বন্দরের আধুনিকায়ন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত রানা প্লাজা দূর্ঘটনা পরবর্তীতে পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে যে অগ্রগতি হয়েছে, তার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এদেশে এ্যাকোর্ড ও অ্যালায়েন্স এর কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে একটা রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ্যাকোর্ড ও অ্যালায়েন্স এর দায়িত্ব সরকারের উপর ন্যস্ত করা হবে। তাই, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ (ষ্টেক-হোল্ডার) মিলে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এই রূপান্তর প্রক্রিয়া কিভাবে হবে, তা নির্ধারণ করা বাঞ্চনীয় বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
বিজিএমইএ কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।