নাটোরের বাগাতিপাড়ায় যুব উন্নয়নের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ
প্রযুক্তিগত ক্ষমতায়নে গ্রামীণ জনপদকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর টেকাব প্রকল্পের আওতায় মাসব্যাপী বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। উপজেলার ৪০ যুবক-যুবতী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ ভ্যানে বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়াং পিপল অব বাংলাদেশ (টেকাব) ৭টি ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ ভ্যানে ৭টি বিভাগে জেলা সদর ছাড়া অন্যান্য উপজেলায় মে ২০১৬ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে। রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার জেলা সদর ছাড়া মোট ৬৬টি উপজেলার জন্যে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ভ্যানে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলা থেকে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২ অক্টোবর থেকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় শুরু হওয়া ২২ কর্মদিবসের প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এরআগে নাটোরের লালপুর উপজেলায় এই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় প্রশিক্ষণ শুরু করার জন্যে প্রশিক্ষনার্থী বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রশিক্ষণ ভ্যানের প্রশিক্ষক রেমন ইসলাম।
প্রশিক্ষণ ভ্যানের প্রশিক্ষক রেমন ইসলাম বলেন, বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মডিউলে রয়েছে ফাউন্ডেশন এন্ড অপারেটিং সিস্টেম, এমএস ওয়ার্ড, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ইন্টারনেট এন্ড আউটসোর্সিং। প্রশিক্ষণ ভ্যানে ১০টি ল্যাপটপ ছাড়াও প্রজেক্টর, প্রিন্টার, স্ক্যানার রয়েছে, রয়েছে ওয়াই-ফাই সুবিধা এবং ষ্ট্যান্ডবাই জেনারেটর।
প্রশিক্ষনার্থী তমালতলা কৃষি ও কারিগরি কলেজের অনার্সের ছাত্র নয়ন উদ্দিন বলেন, আনন্দঘন পরিবেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছি। রাজশাহী কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় ¯œাতোকোত্তর রুবেল আলী বলেন, চাকুরীর চেষ্টায় আছি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণের এই সনদ এক্ষেত্রে সহায়ক হবে। অপর প্রশিক্ষণার্থী বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট রেহেনা পারভীন জানান, আজ আমরা ফটো শপের কাজ শিখছি। দোরগোড়ায় এ প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে এবং দলগত প্রচেষ্টার ফলে প্রশিক্ষণ সফলতা পাচ্ছে বলে রেহেনা উল্লেখ করেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু হানিফ মিয়া বলেন, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২০ যুবক এবং ২০ যুবতী ৪টি ব্যাচে প্রতি কর্মদিবসে দুই ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন। প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনে মেয়েদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম এসএসসি পাস এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম এইচএসসি পাসের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হলেও অর্ধেক প্রশিক্ষণার্থীই উচ্চ শ্রেণীর শিক্ষার্থী, অনেকেই পড়াশুনা শেষ করেছেন। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী বাছাই করা হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নৗশাদ আলী বলেন, গ্রামীণ জনপদে প্রশিক্ষণ ভ্যানের কার্যক্রম পরিচালনার ফলে এলাকার যুবক-যুবতীরা প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবেন। এতে করে তথ্য-প্রযুক্তি চর্চায় শহর ও গ্রামের ব্যবধান হ্রাস পাবে।