দেশের সেরা স্টেডিয়াম সিলেট : পাইলট
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম আসরের। একবার যারা এখানে পা রেখেছেন তারা সকলেই স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ। মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে এটি অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
স্টেডিয়ামের চারপাশের বেশিরভাগ অংশই বাগানে ঘেরা। কোথাও চা বাগান, আবার কোথায় কমলা লেবুর বাগান, ছোট ছোট টিলা। বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ চা বাগানের নাম ‘লাক্কাতুরা’। এই চা বাগানের ভেতরেই স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। মাঠের ভেতরের সৌন্দর্য চোখে পড়ার মত। গ্র্যান্ডস্ট্যানগুলোর ছাদ কুঁড়ে ঘরের মত। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ‘বাংলো’। এছাড়াও পশ্চিম দিকে রয়েছে সবুজ গ্যালারি। এখানে বসে, শুয়ে, কাত হয়ে খেলার উপভোগ করা যাবে। এমন গ্যালারি সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাতে দেখা যায়।
তাই স্টেডিয়ামের এমন চিত্র দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি পাইলট। তিনি বলেন, ‘এটা আমার খুব পছন্দের মাঠ। বাংলাদেশের মধ্যে এটি অন্যতম সেরা মাঠ। পরিবেশের জন্য এটা ক্রিকেটের জন্য বেসিক মাঠ। বেসিক মাঠ বলতে বোঝাতে চাচ্ছিÑ মানুষের জন্য রিফ্রেশমেন্টের সুবিধা থাকতে হবে। যেখানে বাতাস আছে, ফ্রেশনেস আছে। ঢাকাতে জনসংখ্যা বেশি, শহরের মধ্যে স্টেডিয়ামটি। তাই অতটা খেলোমেলা নয়। তবে, এনভায়রনমেন্টের জন্য এই স্টেডিয়ামটি খুবই ভাল।’
স্টেডিয়ামের চারপাশ সবুজের সমারোহ। এমনকি স্টেডিয়ামের ভেতরেও আছে সবুজ গ্যালারি। পশ্চিম পাশের সবুজ গ্যালারি নিয়ে পাইলট বলেন, ‘এরকম গ্যালারি আমরা কেবলমাত্র দেশের বাইরে গেলে দেখতে পাই।’
সিলেটের এই স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এখানে আসন সংখ্যা আরও বাড়ালে সৌন্দর্য নষ্ট হবে বলে মনে করেন পাইলট, ‘বড় গ্যালারি হলে এই সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে। মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে। দেখতে খুব ভালো লাগবে না। বড় গ্যালারি হলে সবুজ আর পাওয়া যাবে না।’
সেই সাথে হোম এন্ড অ্যাওয়েতে বিপিএল হলে আরও জমজমাট হবে বলে মনে করেন সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পাইলট, ‘যখন হোম এন্ড অ্যাওয়ে খেলা হবে তখন চাপ কমে আসবে। তখন সিলেটের মানুষ এখানে খেলা দেখতে পারবে। তখন সিলেটের মানুষ খেলা দেখতে খুলনা যাবে না, ঢাকা যাবে না। একইভাবে কুমিল্লাতে খেলা হলে কুমিল্লার সাপোর্টাররা সেখানে খেলা দেখবে, এখানে খেলা দেখতে আসতে হবে না।’
সিলেটের এই স্টেডিয়ামে এখনো কোন আন্তর্জাতিক টেস্ট বা ওয়ানডে খেলা হয়নি। তাই এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের প্রত্যাশা করছেন পাইটল। এমন সৌন্দর্য বিদেশী খেলোয়াড়দের ভালো লাগবে এবং বিদেশী পর্যটক বাড়বে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমার মনে হয় এখানে খেলা হতে পারে। বিপিএল এর মত বড় আসর এখানে অনুষ্ঠিত হলো। বিদেশীরা অবশ্যই এ মাঠ দেখে প্রশংসা করবে। সিলেটে দু‘টো জিনিস খুবই ভাল। বিদেশীরা যা খুব পছন্দ করে। একটা হচ্ছে, মাঠের মজা, আরেকটা হচ্ছে মাঠের বাইরের পরিবেশ। সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ঘেরাফেরার জায়গা আছে। রিফ্রেশমেন্টের সুযোগ আছে। বাইরের মানুষকে টানার মতো সব সুযোগ-সুুবিধা আছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে বাইরের প্রচুর মানুষও আসবে এখানে। ওরা খেলা দেখবে এবং ঘুরাফেরা করবে।’