এমপি শওকতের জামিন সংক্রান্ত আদেশ ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত
নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হবে বলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এক আদেশে হাইকোর্ট গত ২২ অক্টোবর ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে এমপি মো. শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হবে বলে নির্দেশ দেয়। পরে এমপি শওকত আপিল করলে এ আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৯ অক্টোবর ওই আদেশের ওপর দুই সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ। আজ ওই স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিষয়টি মুলতবি করা হয়েছে।
আদালতে শওকত চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন, নুরুল ইসলাম সুজন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। কমার্স ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।
এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশের কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এ জন্য সময় আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
২০১৬ সালের ৮ ও ১০ মে শওকত চৌধুরীসহ ব্যাংকটির নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় বলা হয়, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ২০১৬ সালের ৮ মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০ মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সংসদ সদস্য শওকতসহ ৯ জনের নামে অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স এগ্রো কেমিকেল লিমিটেড ও উদয়ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসে তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। পরে যা সুদে আসলে শত কোটি টাকার ওপরে চলে যায়। এরপর শওকত চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে নি¤œ আদালতও তার জামিন মঞ্জুর করেন।