শীতে সুস্থ থাকতে করণীয়
সবাই সুস্থ সবল থাকতে চাই। এটা আমাদের সবারই কাম্য।
কর্মজীবনের স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যেতে সুস্থ থাকা অতি জরুরি। কিন্তু আমরা চাইলেই কী সুস্থ থাকতে পারি? না পারিনা। আমাদের অসুস্থ হওয়ার কারণ মূলত খাদ্য অভ্যাস, অসময়ে ঘুম বা সময় মতো ঘুম না হওয়া এবং শরীর চর্চা না করা ইত্যাদি। এজন্য সুস্থ থাকতে হলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে।
১. শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস পরে বের হবেন। কারণ শরীরের তাপগুলো হাতের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই হাতের গ্লাভস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে।
২. শীতকালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় খুব সহজেই। তাই আপনাদের মধ্যে যারা খুব রোগা আছেন তারা বেশি করে খাবার খান।
তবে যারা মোটা তারা অবশ্যই এই সময় খাবারটা ডায়েট করে খাবেন। কারণ আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন।
৩. এই সময় সকালে বা দুপুরে কাজে বের হওয়ার সময় সান’স ক্রিম মেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ শীতকালে সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসে। আর তাই এই সময় ৮০ শতাংশ ক্ষতিকারক রে আমাদের স্কিনের ক্ষতি করতে পারে।
৪. আমরা অনেকেই মনে করি যে শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের শরীর হয়ত খারাপ করবে। তবে আপনি জানেন কি? ঠান্ডাতে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক বেড়ে যায় ফলে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
৫. শীতকালে আমাদের পানি তেষ্টা খুব কম পায়। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে গেলে আমাদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক। না খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিডনির সমস্যা, হজমের সমস্যা প্রভৃতিও দেখা দেয়। তাই পানি তেষ্টা না পেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে বেশি করে পান খান। এতে দেখবেন শীতকালে শরীরের কোনও সমস্যাই দেখতে পাওয়া যাবে না।
৬. শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা অনেক গরম জামা পরি। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি গরম জামা পরার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে ঘাম হয়ে যায়। যার জন্য ঠান্ডার লাগার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বেশি গরম জামা না পরে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে যেটুকু দরকার সেইটুকু পরাই উচিত।