বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম ৪৭তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ লনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্রবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে। তাই ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতীয় ছুটির দিন।
দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনারগণ, সুপ্রিমকোর্টের বিচারকগণ, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীগণ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনীর প্রধান, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বীর শ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩ জন সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এই সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তারা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দেশের প্রখ্যাত শিল্পী রফিকুল ইসলাম, আবিদা সুলতানা ও হায়দার হোসেন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন এবং শিশু ও একটি আর্মি ব্যান্ড অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।