ইরানের বিক্ষোভে আমেরিকা জড়িত : পশ্চিমা বিশ্লেষক
ইরানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডনভিত্তিক ‘পলিটিক্স ফার্স্ট’ নামের একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক মারকাস পাপাদোপুলোস। রবিবার ইরানের প্রেস টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমা এই বিশ্লেষক এ মন্তব্য করেন।
মারকাস পাপাদোপুলোস বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আমেরিকা জড়িত। ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর থেকেই আমেরিকা দেশটিকে গোলযোগপূর্ণ দেশে পরিণত করার চেষ্টা করে আসছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি ইরানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সরকারি নীতিবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য শহরেও। এমনকি এই আন্দোলন চলাকালে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পদত্যাগের পাশাপাশি দেশটির আবহার শহরে বিক্ষোভকারীরা তার ছবি-সম্বলিত সুবিশাল ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৩৮ বছর আগে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর আয়াতুল্লাহ-র বিরুদ্ধে এই ধরনের বিক্ষোভ প্রায় নজিরবিহীন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে, ইরান সরকার এই আন্দোলনের পেছনে অন্য কারণ খুঁজছেন। সরকার বলছে,, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই আন্দোলন হচ্ছে না। আর যদি সেটা হতো তাহলে জিনিসপত্রের দামের বিরুদ্ধে আন্দোলনই হত, সেখান থেকে রাজনৈতিক স্লোগানও উঠত না, কিংবা সরকারি সম্পত্তি ও গাড়িতে আগুনও ধরানো হত না
প্রেস টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারকাস পাপাদোপুলোস বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্য মার্কিন রাজনীতিকদের বক্তব্য শুনছি, কিন্তু আমেরিকার মূলধারার সাংবাদিকদেরও বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন দিতে দেখছি, যা অত্যন্ত ভয়নক। আমি বিশ্বাস করি, আমেরিকানদের এমন সমর্থন বিশেষ করে দেশটির সর্বক্ষমতার অধিকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে ইরানে ধ্বংসাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।”
পশ্চিমা এই বিশ্লেষক আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বিক্ষোভকারীদের অনেক দেশ প্রেমিক মানুষ রয়েছেন, যারা ইরানে বিদেশি হস্তক্ষেপ চান না কিন্তু তারা দারিদ্রের বিষয়ে কিছু একটা হোক -এট চান।”
তবে মারকাস জোর দিয়ে বলেছেন, ”বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা আমেরিকানদের নির্দেশ পালন করছে।”